বন্দর প্রতিনিধি // বন্দরে মাদক ব্যবসায় বাধাঁ দেয়ার জের ধরে রাজমস্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মারধর, ভাংচুর ও লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই এলাকার সাগর গংরা নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ ঘটনায় সাদেক মিয়ার ছেলে মাসুম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মালিবাগ এলাকার মোঃ সাগর (২৫), ২। শরিফ (৩২), ৩। মোঃ সেলিম (৩৮), সর্ব পিতা- শামসুল হক, ৪। শফিকুল (৩০), পিতা- মৃত সিরাজুল, ৫। মোসাঃ রেখা (৩০), স্বামী- সেলিম, ৬। সোনিয়া (২৫), স্বামী- শফিকুল, সর্ব কামতাল, মালিবাগ, ২নং এবং ৩নং বিবাদী দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
বাদী মাসুম মিয়া জানায়, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের বিবাদীদেরকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করায় বিবাদীরা আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। এই নিয়ে বিবাদীরা আমাদেরকে এরপূর্বেও একাধিকবার মারধর করে। এরই সূত্র ধরে গতকাল বিকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত বিবাদীরা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা বিবাদীদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং এবং ২নং বিবাদী আমাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল-ঘুষি এবং লাথি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমাকে ধারালো ছুরির উল্টোপাশ দিয়ে পিঠের মধ্যে আঘাত করে নীলাফুলা জখম করে। আমার ভাগ্নে রাজু (২৮) আমাকে বিবাদীর হাতে থেকে রক্ষা করতে গেলে ২নং এবং ৩নং বিবাদী আমার ভাগ্নেকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলার মধ্যে আঘাতের চেষ্টা করলে তা পথভ্রষ্ট হয়ে আমার বাম হাত ও কাধের মধ্যে আঘাত করে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৫নং এবং ৬নং বিবাদী আমার স্ত্রী মোসাঃ হেনা (৩২) কে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ৪নং বিবাদী আমার স্ত্রীর জামা-কাপড় টেনে শ্লীলতাহানী করে এবং এলোপাথারীভাবে শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল-ঘুষি এবং লাথি মেরে নীলফুলা জখম করে। একপর্যায়ে ২নং এবং ৩নং বিবাদী আমাদের ঘরের মধ্যে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে থাকা কিস্তির নগদ ৭০,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিবাদীরা আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে প্রায় ২০,০০০/- টাকা ক্ষতিসাধন করে। আমাদের ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে পরবর্তীতে পথেঘাটে পেলে জানমালের ক্ষতিসাধন করার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে কামতাল ফাঁড়ি থেকে পুলিশ প্রসাশন গিয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। এই ঘটনার পর আমাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বিবাদীরা এলাকার নাম করা সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক। বিবাদীদের এইরকম কর্মকান্ডের কারণে আমি এবং আমার ভাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি এবং জানমালের নিরপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। এমতাবস্থায় আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে বিষয়টি আমার নিকট আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করি। মাদক ব্যবসায়ীদের কবল হতে রক্ষাসহ এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
।