ডাকাতরা রাজনৈতিক শেল্টারে
স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ১০৮ টি গ্রামের প্রতিটি গ্রামবাসী যেন ডাকাত আতঙ্কে মধ্যে দিন যাপন করেন।
এরা কেউ আবার ইদানিং রাজনৈতিক আশ্রয়ে দিনের বেলা চাঁদাবাজি এবং রাতের বেলা ডাকাতির কাজে জড়িত রয়েছেন।
আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে ডাকাত আতঙ্কের কারণ। অনেকে রাতের বেলা বাড়ি ঘর পাহারা দিয়ে থাকেন নির্ঘুম থেকে।
একটি সূত্র হতে জানা যায়, সর্দাসাদী গ্রামের আক্তার ডাকাত, শওকত ডাকাত,রফিকুল ইসলাম রফু ডাকাত, গিরদা গ্রামের আসলাম ডাকাত, ব্রাম্মন্দী গ্রামের ইয়ানুস ডাকাত, কৃষ্ণপুরা গ্রামের হাসান আলী ডাকাত, মোল্লারচর গ্রামের মোনা ডাকাত,হাবু ডাকাত, দাসপাড়া গ্রামের শাহ আলী ডাকাত উল্লেখযোগ্য।
এরা এতো দুর্ধর্ষ যে ডাকাতের কাজে কেউ বাধা দিতে গেলে তাদেরকে খুন করে ফেলেন। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, উল্লেখিত ডাকাতরা এলাকার মূর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত। থানা পুলিশ ও এদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনায় যেতে সাহস পায়না। এরা দিনের বেলা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি ও রাতের বেলা ডাকাতের কাজে জড়িত থাকে।
একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ছত্রছায়ায় এরা এলাকায় বিচরণ করে থাকে। তাই পুলিশ ও তাদেরকে ধরতে সাহস পায় না। কেননা ঐ নেতা তার নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে ওই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের বদলি সহ নানান ধরনের ভয় দেখিয়ে থাকেন বলে মনে করেন সচেতন এলাকাবাসী।
উল্লেখিত ডাকাতদের নির্মূল করতে হলে সেনাবাহিনী, বিডিআর, আনসার, পুলিশের সমন্বয়ে রেড এলার্ট জারি করে অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
আড়াইহাজার বাসী আর কোন এমপি বা নেতার নীতি বাক্য শুনতে চাননা। নজরুল ইসলাম বাবু এমপি থাকাবস্থায় ডাকাতদের ভয়ে কেউ শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামগুলোতে রাত্রি যাপন করতে পারেনি।
যখন যে নেতা হন তারাই ব্যক্তি স্বার্থে ডাকাতদের ব্যবহার করে নিরীহ মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন।
ডাকাত ও তাদের শেল্টার দাতাদের ব্যাপারে গোপন তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের হাতে সোপর্দ করার দাবি জানান।