স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
এজেএম আহছানুজ্জামান ফিরোজ শেরপুর প্রতিনিধি
সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও কেজি স্কুল পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা । কিন্তু প্রকাশ্যে পাঠদান চলতে থাকলেও অদৃশ্য কারনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে। এঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহল, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। অনেকেই বলছেন তাঁদের খুঁটির জোর কি সংশ্লিষ্ট দফতরের চেয়ে শক্তিশালী।
সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে বছরের শুরুতেই বই বিতরণ করে এবং প্রতিবছর বই উৎসব করা হয়। এ পর্যায়ে শেরপুরের শ্রীবরদীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি, বেসরকারী ও কিন্ডারগার্টেন বা কেজি স্কুল গুলোতে বিনামুল্যে বই দেওয়া হয়। বতর্মানে কয়েক দিন ধরে সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে সরকার সারাদেশে হিট এল্যার্ট জারি করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল দপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। কিন্তু শ্রীবরদী উপজেলার কিন্ডারগার্টেন গুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে আইডিয়াল প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুল ও এইচ.আর মডেল স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা শিক্ষকদের ভয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। এব্যাপারে শ্রীবরদী আইডিয়াল প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলমান ছিলো। তাই প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছি। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিদ্যালয় খোলা রাখতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিদ্যালয় খোলা রাখা ঠিক হয়নি। এইচ.আর মডেল স্কুলের পরিচালক হাফিজুর রহমান ফারুক বলেন সকল কিন্ডারগার্টেন খোলা রয়েছে। তাই আমরাও পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। রেইনবো একাডেমির ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর পিতা সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় খোলা রাখা ঠিক হয়নি। তীব্র তাপদাহের কারনে যেকোন সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে পারে। উল্লেখ্য, উপজেলায় ৬০টির অধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কিন্ডারগার্টেন গুলোর পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৌফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলো ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত। তাই আমরা কিছু বলতে পারিনা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আলম তালুকদার বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন না হওয়ায় আমরা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারতেছি না।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি অবগত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।