চাঁদাবাজ সানাউল্লাহ বেপারী’র অতিষ্ঠ হয়ে মোবারকপুরের স্থানীয় বাসিন্দা গাজী আওলাদ হোসেন তার নিজ বাড়িতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষদের নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই সানাউল্লাহ বেপারী সাবেক এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের জায়গা জমি, এবং দালান কোঠা নির্মানে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে থাকে, ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নিরিহ মানুষের জায়গা জমি দখল করে চাঁদা দাবি করে থাকে। সে করোনা যোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কাজ করে থাকে।
এ বিষয়ে গাজী আওলাদ হোসেন আরও বলেন,আমার সাথে সানাউল্লাহ বেপারীর কোন সময় কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ মামলা মকর্দমা হয়নি।কিন্তু দুঃখের বিষয় গত কয়েক মাস আগে আমি আমার এলাকায় ড্রেজারের মাধ্যমে কিছু বালু ভরাটের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সানাউল্লাহ বেপারি আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দেওয়াই আমার প্রায় ৩০ টি প্লাস্টিকের পাইপ ভেঙে চুরমার করে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই সময় সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি এ নিয়ে এলাকায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আল- আমিন সরকার ও বর্তমান এমপি আব্দুল আল কায়সার হাসনাত এর সুষ্ঠু সমাধান করে দিয়ে যান।
তারই ধারাবাহিকতায় পুর্ব শত্তুতার ঝেরে ক্ষোভে সে রমজান মাসে নদীর পাশে রাখা আমারএকটি ড্রেজারে রাত বারোটার সময় সানাউল্লাহ বেপারী লোকজন নিয়ে হামলা করলে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হইলে সানাউল্লার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এর একটি ভিডিও ধারণ করি। খবর পেয়ে সেখানে বতর্মান মেম্বার গাজী আবুল হোসেন গিয়ে সানাউল্লাহকে মাফ চাইয়ে জনগণের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এবং সেখানেও মেম্বার সাহেব এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সে এই ক্ষোভে ও লজ্জায় গাজী আওলাদের বিরুদ্ধে তার অপকর্ম ডাকার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।