জাগো নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভোলাইল টাওয়ারপাড় এলাকায় ইলিয়াস ও সাগরগংদের মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠছে। পুলিশের মাদক বিরোধী তৎপরতার অভাব এবং স্থানীয়দের নিরবতাকে দায়ী করছেন স্থানীয় অভিভাবক মহল।
সরেজমিনে এবং স্থানীয়দের তথ্যমতে জানা যায়,ভোলাইল মিষ্টির দোকানী মজিবরের ভাড়াটিয়া বাড়ির মাঠকেই মাদক বিক্রির নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে একটি ইসলামী সংগঠনের নেতা ওমর ফারুকের ছেলে ইলিয়াস, সুদখোর সুফিয়ানের ছেলে মো.সাগর এবং তাদের অন্যতম সঙ্গী মো.দিপ্তি। এদের মধ্যে মো.ইলিয়াসের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। মো.দিপ্তিকে গতকাল রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমের কাছে আটক হয়।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে আরো জানা যায় যে, ওমর ফারুকের ছেলে মো.ইলিয়াসের নেতৃত্বেই ভোলাইল টাওয়ারপাড়সহ আশপাশ এলাকায় মাদকের বিশাল একটি হাট জমিয়েছে। এখান থেকে কাশিপুরের আশপাশ এলাকায় পাইকারী হিসেবে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করলে ইলিয়াসের অন্যতম সহযোগি দিপ্তি। দিপ্তির বাবা একটি টেইলার্সের দোকান চালালেও গুনধর পুত্রকে দিয়ে পুরো এলাকাতে মাদকের বিশাল একটি সামাজ্যে গড়ে তুলেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তির সার্বিক সহযোগিতায় নাকি ইলিয়াসগং পুরো এলাকাটিতে মাদকের ভয়াবহতা সৃষ্টি করে যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছু প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টারেই ইলিয়াসরা এতটা বেপরোয়া রুপ ধারন করেছে। এখানে পুলিশের আনাগোনা কম থাকায় ও নেতাদের আর্শীবাদ থাকাতেই মাদকের এত বিস্তার লাভ করেছে। যদি মাঝে-মধ্যে ২/১জন পুলিশকে দেখা গেলেও ইলিয়াস বাহিনীর সাথে কিছু সময় কাটিয়ে আবারো চলে যায় পুলিশ। তারা আরো বলেন,এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী প্রজন্মকে কোনভাবেই রক্ষা করা যাবেনা। ইলিয়াসগংরা মাদক বিক্রির টাকা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেলেও যুবসমাজ চলে যাবে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। যুবসমাজ রক্ষায় ইলিয়াসগংদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত বলে দাবী করেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
ভোলাইল টাওয়ারপাড় এলাকার স্থানীয়রা এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মো.ইলিয়াসগংদের মাদকের কড়ালগ্রাস থেকে বাচঁতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও র্যাব-১১’র সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।