রাশেদুল ইসলাম রনি :
জামালপুরের বকশীগঞ্জে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের দক্ষতা সৃষ্টিতে এবং ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কম্বাইন হারভেষ্টার এর মাধ্যমে ধান কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।১৬ মে দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার মাঝপাড়া গ্রামে সমলয় ব্লকে এ উপলক্ষে এক কৃষক সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাতের সভাপতিত্ব,উপ সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল ইসলাম সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান, ইঞ্জিনিয়ারিং নুরল আমিন ফুরকান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী সহ অনেকে।
উপজেলা কৃষি কমকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ৫০ জন কৃষক এই সমলয় ব্লকের সাথে সমবায় পদ্ধতিতে সংযুক্ত থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চাষাবাদ করেছে। ধান কর্তনের সময় হওয়ায় কম্বাইন হার্ভেষ্টার দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে এবং কৃষকদের এই যন্ত্র ব্যবহারে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখানে ট্রে পদ্ধতিতে বীজ বপন করে চারার উৎপাদন করা হয়েছে এবং রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। জমি চাষ করা হয়েছে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে।
সমলয় প্রদর্শনী ব্লকের চাষী সোহেল রানা জানান, ধান উৎপাদনে বীজ বপন থেকে ধান মারাই পর্যন্ত সবচেয়ে পরিশ্রমের কাজ হচ্ছে চারা জমিতে রোপন ও ধান কর্তন। শ্রমিকের মজুরী অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে খুব সামান্যই লাভ হতো। এখন আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শিখে নিলাম। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আগামীতে চাষীদের শ্রম মজুরীর প্রায় ৫০ ভাগ অর্থ বেঁচে যাবে। সমলয় চাষাবাদের প্রদর্শনী দেখে চাষীরা প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেরা লাভবান হবার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।