জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের ইসলামপুর ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিভূত হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচারণায় ততই মুখরিত হয়ে উঠছে । প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এড.আঃ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হলেও জমে উঠেছে পুরুষ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আঃ খালেক আকন্দ, মাইক প্রতিকে যুবনেতা ফারুক ইকবাল হিরু ও চশমা প্রতিকে আঃ লতিফ মিয়া ভোটের মাঠে প্রতিদ্ধন্ধিতায় করছেন। অন্যদিকে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথিঁ কলসি প্রতিকে ও সাবেক যুব মহিলা লীগের আহবায়ক আঞ্জুমনোয়ারা বেগম ফুটবল প্রতিকে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতায় করছেন।
জানাযায়, আগামী ২১মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস আলী বাহাদুরের জেষ্ঠ্য পুত্র যুবনেতা ফারুক ইকবাল বিজয়ের লক্ষে উপজেলা জুড়ে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় মাইক প্রতিক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি এলাকায় তার পক্ষে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন ও উৎসাহ লক্ষ করা যায়। ভোটের এলাকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ফারুক ইকবাল হিরু। তাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে বিভিন্ন এলাকার জনগন। ফারুক ইকবাল হিরু বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সকলেই জন্মসূত্রে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বাবা নিজের জীবন বাঁজি রেখে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা রক্ষায় সংগ্রাম করে মৃত্্ুয বরণ করেছেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস বাহাদুরের সন্তান আমি। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হয়ে তৎকালীন সেনা শাসক এরশাদ হঠাও অগ্রনী ভূমিকা রেখেছি। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী-সমর্থক হিসাবে নিয়োজিত আছি। আমি গত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি এবারও প্রার্থী হয়েছি। সকলের দোয়ায় নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতে চাই।
বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা জানান,আমরা স্বাধীনদেশে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে রাজনীতিকে বিশ্বাস করি। তাই আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকেই নেতৃত্বে দেখতে চাই।