চৌধুরীবাড়ি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নির্বাচন
জাগো নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে রাখা যুবলীগ নেতা মহসিন ভুইয়ার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ২৪ মে রাত ১০টায় মহসিন ভুইয়া নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এ হামলা চালায়। হামলায় কয়েকজন ব্যবসায়ী আহত হলেও গুরুতর আহত ৪ জ কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী মহল।
এদিকে মহাসিন ভুইয়া নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের উপর হামলার কথা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এনসিসি ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। সেখানে তিনি বলেন,মহাসিন ভুইয়ার বিভিন্ন চাদাঁবাজি ধান্দাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি নির্বাচিত হউক। দুই মাস পুর্বে সকল ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতেই একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার যেই সভাপতি তিনি ৩বার আমার সাথে নির্বাচন কওে পরাজয় বরন করেছেন। তিনি একাধিকবার আমার সাথে নির্বাচন করুক তাতে কোন সমস্যা নাই কিন্তু এ নিরীহ ব্যবসায়ীরা যখন একটি নির্বাচন চায় সেটা দিতে আপত্তি কোথায়। এখানে ২৪০ জন ভোটার রয়েছেন মহাসিন ভুইয়াও নির্বাচন করুক তাতে তো কোন সমস্যা নাই। ২২৭ জন রেজিষ্ট্রি করেছে নির্বাচনের জন্য। এমনকি মহসিন যে পকেট কমিটি করেছি তার বেশীরভাগ সদস্যরা চায় এখানে নির্বাচন হোক। এখানে শান্তিপুর্ন একটি পরিবেশকে বিনষ্ট করতে ১০ নং ওয়ার্ডের কিছু চিহিৃত ব্যক্তিদের নিয়ে মহসিন ভুইয়ার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের উপর চামলা চালায়। হামলা হাসান নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে। হাসানকে নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাক্তাররা তার অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকায় রেফার্ড করেছে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন এবং সাংসদ শামীম ওসমানের মত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরস্থানে একজন অপরাধী কিভাবে আওয়ামীলীগের পরিচয় দেয় তা আমাদের লজ্জা হয়। এ সমস্ত লোকরা দলে ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত তাই এমপির কাছে অনুরোধ করবো এসকল অপরাধীকে দল থেকে বহিস্কার করা হোক। তিনি আরও বলেন, যারা ১০ নং ওয়ার্ড থেকে এসে আমাদের ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছেন তাদেরকে বলছি আপনারা ভালো হয়ে যায়। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে এসে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ করবেন না। বিএনপির ক্যাডার সেলিম,ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিয়াই মনির মাদবরের এখানে কি কাজ। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলবো এখানে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে তা দেখে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনী ব্যবস্থা নিন।
অপরদিকে সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে মহাসিন ভুইয়ার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর হামলার ঘটনায় ফুসে উঠেছে সাধারন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবী নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হবে এ সংবাদ শুনেই মহসিন ভুইয়া বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই। মহসিন ভুইয়ার সাথে হামলার ঘটনার সময় ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনও সেখানে উপস্থিত ছিলো বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন,এঘটনার ভিডিও ফুটেজের হার্ডডিক্সটি কাউন্সিলর খোকন খুলে নিয়ে যান।
মহসিন ভুইয়া কর্তৃক সাধারন ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা প্রতিবাদে স্থানীয় প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, কয়েকদিন পুর্বেও লক্ষীনারায়ণ স্কুলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর খোকনের ভয়াবহতার রুপ সাধারন মানুষ দেখেছেন। খোকন নির্বাচন চায়না চায় শুধু সিলেকশন। এজন্য সেখানে তিনি সাংসদের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি ম্যাডামেরও নাম ভাঙ্গিয়েছেন। বর্তমানে নিজের ওয়ার্ডকে ওভারটেক করে ৮নং ওয়ার্ডে কেন তিনি মাথা ঘামাচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। খোকন তার নিজের ওয়ার্ডে মাদক,সন্ত্রাস,ধর্ষনসহ যাবতীয় সমস্যায় জর্জরিত। নিজের ওয়ার্ডকে সামাল না দিয়ে আরেকটি ওয়ার্ডে এসে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করে সংঘাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এ কাউন্সিলর খোকন। তারা আরও বলেন,নিজের ওয়ার্ড ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংসদ শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে কাউন্সিলর খোকন তার অপরাধের তান্ডবলীলা চালাচ্ছেন। আমরা কাউন্সিলর খোকনের এরুপ বেপরোয়া চলাচল রোধে সাংসদ শামীম ওসমানের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।