Views: 108
মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে পরাজিত হয়ে
জাগো নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেও পর প্রধান শিক্ষকের উপরও হামলা চালাবে এমন গুঞ্জনে এলাকাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
স্থানীয়সুত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার ২৪ মে মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন ২৪ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে মোট ভোট ৮৮৮, প্রাপ্ত ভোট ৬৩৭, বাতিল হয়েছে ৫টি। শিক্ষক প্রতিনিধি মোট ভোট ১৮টি।
অভিভাবক সদস্য ৪ টি পদের জন্য ৬ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ২ টি পদের জন্য ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলে, অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। উক্ত নির্বাচনে মোঃ আবু বকর, কাজী মোঃ মুসলিম, মোঃ রুহুল আমিন,মোঃ মোক্তার হোসেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি পদে মোঃ মাহবুবুর রহমান কামাল, ও মোঃ আসাদ উল্লাহ নির্বচিত হয়। আর নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবু তালেব।
আজ রবিবার সদর উপজেলায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। সেখানে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম এবং অ্যাড. মাসুদুর রহমান সুজন। মোট ৯টি ভোটের মধ্যে অ্যাড মাসুদুর রহমান সুজন ৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। ৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়ে আবুল কাশেম তাৎক্ষনিক তার মুঠোফোনে মাধ্যমে স্কুলে অবস্থানকারী তার স্বজনদের মুঠোফোনে তার পরাজিত হওয়ার কথা জানালে তখনি আলী সর্দারের ছেলে রনি,মৃত.মজিদ সরদারের ছেলে আলামিন.আবুল হকের ছেলে তামিম এর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন বহিরাগতরা স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলে পরীক্ষা চলছিলো। তারা স্কুলে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের খাতা ও প্রশ্নগুলো ছিড়ে ফেলে দেয়। এ সময় স্কুল শিক্ষক মো.জাহিদ তাদেরকে বাধা প্রধান করলে রনিগংরা তার উপর চড়াও হয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তারা স্কুল থেকে জোড়পুর্বক বের করে দেয়। এ ঘটনায় স্কুলের আশপাশে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। অপরদিকে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিমের উপরও নাকি হামলা চালাবে বলে প্রচার করছে। যার ফলে স্কুলের আশপাশের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে এগুচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।