ঘরে ঢুকে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট আহত ১
জাগো নারায়ণগঞ্জ:
পুর্ব শত্রতার জেরে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় বেআইনীভাবে জড়ো হয়ে ঘরে প্রবেশ করে মারধর,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে আলী আহম্মদ সরদারগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার মো.কামাল হোসেনের ছেলে তালহা জুবায়ের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আলী আহম্মদ সরদারগংদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে আমাদের বিবিধ বিষয় নিয়া পূর্ব শত্রুতা চলিয়া আসিতেছিল। তারই জের হিসাবে বিবাদীরা আমাকে সহ পরিবারের লোকজন দের খুন জখম করার হুমকি দিয়া আসছিলো। রবিবার ২৬ মে রাত সাড়ে ৮টায় একই এলাকার মৃত.জমসের আলীর ছেলে আলী আহম্মদ সরদার, মফিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে আবু কালাম, মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, কাশেমের ছেলে সানি,মৃত মজিদ সরদারের ছেলে আল আমিন,মৃত ওহাব সরদারের ছেলে ফারুক,মৃত মোহম্মদ সরদারের ছেলে মিন্টুসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন বে-আইনি জনতা বদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি, লোহার রড, হকিষ্টিক, রামদা ছোরা, কিরিচ ইত্যাদি সহ আমাদের বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া আমার নাম ধরিয়া গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় আমার পিতা কামাল হোসেন (৫৩) মা তাছলিমা বেগম (৪০) ফুফু আছমা বেগম (৪০) চাচী শাহিনা (৩৫) বাধা দিলে বিবাদীরা তাদের মারধর শুরু করে। আমি তাদের কে রক্ষা করতে গেলে বিবাদীরা আমাকে ও মারধর করে। এরপর বিবাদীরা আমার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া ঘরের জিনিস পত্র ভাংচুর করতঃ ১নং বিবাদী আলমারী থাকা নগদ ৪ চার লক্ষ টাকা, ২নং বিবাদী আমার মায়ের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের চেইন, ৩নং বিবাদী আমার ফুফুর কানে থাকা ৮ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়। ৪নং বিবাদী আমার চাচীর পরনের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলনতাহানি ঘটায়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা হুমকি দেয় এ ব্যাপারে থানায় মামলা করিলে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের ১নং বিবাদীকে পেলেও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নাকি তাকে ছেড়ে দিয়ে আসেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা ও ভাংচুরের সত্যতা পেলেও ইউপির সাবেক চেয়্রাম্যানের হস্তক্ষেপের ফলে মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য যে,গত ২৪ মে মুসলিম নগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদের জন্য সদর উপজেলায় ২৬ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেখানে বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম ১ ভোটের ব্যবধানে অ্যাড.মাসুদ পারভেজ সুজনের কাছে পরাজিত হলে তাৎক্ষনিক তিনি এলাকাতে অবস্থানরত তার স্বজনদের ফোন করে জানালে তার স্বজনরা স্কুলে হামলা চালায়। সেই হামলায় একজন শিক্ষক আহত হয় এবং সে সময় স্কুলে পরীক্ষা চলমান ছিলো। পরাজিত সভাপতির স্বজনরা স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে জোড়পুর্বক বের করে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের খাতা ও প্রশ্নপত্র ছিড়ে ফেলে। হামলা সংক্রান্ত সংবাদটি একটি অনলাইনে পরিবেশন করা হলে সেটা শেয়ার করে তালহা যোবায়ের। নিউজটি কেন শেয়ার করলো এ অপরাধে মৃত.জমসের আলীর ছেলে আলী আহম্মদ সরদার, মফিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে আবু কালাম, মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, কাশেমের ছেলে সানি,মৃত মজিদ সরদারের ছেলে আল আমিন,মৃত ওহাব সরদারের ছেলে ফারুক,মৃত মোহম্মদ সরদারের ছেলে মিন্টুসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন মিলে তালহা জুবায়েরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তান্ডবলীলা চালায়। তালহা জুবায়ের নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রুহুল আমিনের ভাগিনা। রুহুল আমির কাশেমের বিপক্ষে ভোট দেয়ায় তার ভাগিনার বাসায় হামলা করে তান্ডবলীলা চালায় আসামীরা।
ঘটনার সাথে সাথে উক্ত বাড়িতে উপস্থিত হন ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.সাহেদুল ইসলাম। তিনি জানান,আমি ঘরে গিয়ে দেখি একটি সোকেছের গ্লাস ভাঙ্গা ও টেলিভিশনটি সোফার উপর উপড়ে পড়ে আছে। দু’পক্ষই আমার সাথে আমরা কথা হয়েছে। আমি বর্তমানে নির্বাচন ডিউটিতে আছি আগামী আসবো। এসে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন,আমি একপক্ষের অভিযোগের কাগজ পেয়েছি। তবে ভাংচুরের কোন ঘটনার তথ্য বা আলামত পাইনি। এ বিষয়টি ওসি স্যার সরাসরি ড্রিল করছেন। তাছাড়া মামলা নেয়ার দ্বায়িত্ব আমার নয় এটা পুরোটাই ওসি স্যারের এখতিয়ার। যিনি আপনাকে ভুলভাল তথ্য দিয়েছেন আপনি তাকে নিয়ে থানায় আমার কাছে আইসেন।