নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
সাংবাদিক সোহেলের মা’য়ের মৃত্যুতে মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের শোক
সরিষা ফুলের মধু আহরণে স্বাবলম্বী মৌয়ালরা
বকশীগঞ্জে ইউএনও’র বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা
ইসলাম শাহ উরফে পাগলা বাবার ৭ দিনব্যাপী উরস মোবারক উদ্বোধন 
প্রশ”সারাদেশে ছিনতাই, ধর্ষন ও হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন এর মানববন্ধন”
সোনারগাঁয়ে ২৫ কেজি গাঁজা ও পিকআপ ভ্যানসহ আটক-৩
আমতলীর দুই গ্রামে ৪ ইট ভাটা, পরিবেশসহ ফসল বিপর্যয়
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন
আমতলী উপজেলা শাখার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
রেলওয়ের জায়গা দখল করে শ্রমিকদল নেতা সফির ঘর নির্মাণ!
অসুস্থ বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনিরুল ইসলামকে দেখতে গেলেন মুহাম্মদ সাদরিল
ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মানেই চাঁদাবাজীর অভয়ারন্য!
বকশীগঞ্জে রফিক ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য কতদূর কী করার আছে ভারতের?
“সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার মানববন্ধন”
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন!
আমতলীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার নাটক!
জনগণের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলেছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না -মুফতি মাসুম বিল্লাহ
ইসলামপুর মোটর সাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু আহত দুই
সোনারগাঁয়ে ফেন্সিডিলসহ আটক-১
সোনারগাঁয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ 
আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ!
ফতুল্লায় গাড়ী চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর ও ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুস
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ট্রাইবুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ভয়ংকর যেসব মাদকে আসক্ত তিশা টয়া সাফা ও সুনিধি
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাগরনী ক্রীড়াচক্র ক্লাবের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন
নারায়ণগঞ্জ বধির উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমতলীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত
Next
Prev
প্রচ্ছদ
‘জব্দের আগেই অ্যাকাউন্ট খালি করেন বেনজীর’

‘জব্দের আগেই অ্যাকাউন্ট খালি করেন বেনজীর’

প্রকাশিতঃ
Facebook
WhatsApp
Twitter

জব্দের আগেই অ্যাকাউন্ট খালি করেন বেনজীর— এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সম্বন্ধে করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমক কমিশনের (দুদক) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩শে মে আদালত বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দিলেও আগেই টাকা সরিয়ে ফেলেন তিনি।

এসব অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ টাকা ছিল, তা জানা যায়নি। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের থেকে টাকা সরানোর মতো করে জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনও সম্পত্তিও হস্তান্তর করেছে কি না, সেরকম কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমনকি, তিনি দেশে আছেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, পরিবারসহ বেনজীর আহমেদ এখন দুবাইতে অবস্থান করছেন।

এতে বলা হচ্ছে, অ্যাকাউন্ট জব্দ হতে পারে, বিষয়টি তিনি আগেই জেনে গিয়েছিলেন, না কি ধারণা থেকে সরিয়ে ফেলেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বেনজীরের সম্পত্তির বিষয়ে যেসব সরকারি সংস্থা খোঁজ রাখছে, তাদের মাঝে একজন কর্মকর্তা বলেন, “গত সপ্তাহে তার অ্যাকাউন্টগুলো ফাঁকা করা হয়েছে।”

“এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, যখনই কেউ বুঝতে পারেন তাকে ধরার চেষ্টা চলছে, তখনই তিনি টাকা সরিয়ে ফেলেন। অবশ্য টাকা তুললেও নগদে রেখেছেন, না কি অন্য কারও অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, তা বের করা সম্ভব,” যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

কঠিন সময়ে বেনজীর-আজিজ— যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই দেশে না কেবল, বিদেশেও তার ও তার পরিবারের নামে সম্পত্তি আছে কিনা, দুদক এখন সেসবের খোঁজও চালাচ্ছে। তবে এর মাঝেই আরেকটি তথ্য সামনে এসেছে যে বাড্ডার একটি অভিজাত আবাসিক এলাকায় বেনজীর আহমেদের সাত তলা একটি ভবন আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করছে। আরও তদন্ত হবে। মামলা হলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। অনেকে ভাবছে, বেনজীর আহমেদের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া, সে ক্ষমা পেতে পারে। কিন্তু তা হবে না।”

এদিকে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তার ওবায়দুল কাদের বলেন, “যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনিও যদি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করতে পারবে। অপরাধী হলে শাস্তি পেতে হবে।”

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, “পুলিশের সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধান…তারা দু’জনই দু’টি করে সংস্থার প্রধান ছিলেন। ফলে তারা যেসব সংস্থার প্রধান ছিলেন সেসব সংস্থার বিরুদ্ধে মানুষের আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তবে দুদক যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে এটা যেন লোক দেখানো না হয়।”

দায়মুক্তি পাবেন না বেনজীর— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়ানোর পরও গত কয়েক বছরে দেশে দায়মুক্তির অনেক ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে উঠেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকেও কি দায়মুক্তি দেওয়া হবে?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, অনেক এমপি-মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ জমা পড়ার পর দুদকের অনুসন্ধান শেষে কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়, কারও দায়মুক্তি দেওয়া হয়।

আলোচিত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি হলে গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দুদককে। এ কারণে বেনজীর ইস্যুতে সচেতন তারা। নতুন করে কোনও সমালোচনার সুযোগ দিতে চান না তারা।

17 sitting AL MPs murdered in 52 years— ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গত ৫২ বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের মোট ১৭ জন সংসদ সদস্য (এমপি) খুন হয়েছেন।

১৯৭৫ সালে যখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন তিনি ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে তিনি দলীয় প্রধান থাকাকালে (১৯৭২-১৯৭৫) সাতজন সংসদ সদস্য নিহত হন।

এরপর ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। তারপর আরও চারজন এমপি খুন হন।

তবে স্বাধীনতার পর থেকে যতজন বাংলাদেশি এমপি খুন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ঘটেছে। দেশের বাইরে খুনের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার-ই প্রথম।

‘চক্রে’ ঢুকে চার সংসদ সদস্যের ব্যবসা রমরমা— দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চারজন সংসদ সদস্যের ‘মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটে’ বা চক্রে রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মী পাঠায়।

এই চার সাংসদ হলেন: ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে এজেন্সির মালিক সাংসদ মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামাল।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মালয়েশিয়া চক্র হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে দেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয় না। সুযোগটি পায় অল্পসংখ্যক এজেন্সি। শুরুতে চক্রের সদস্য ছিল ২৫টি এজেন্সি। পরে তিন ধাপে বেড়ে ১০০টি হয়েছে।

চক্রে নাম ঢোকাতে প্রতিটি এজেন্সির কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে। আর চক্রে থাকা এজেন্সিগুলো বসে বসে প্রতি কর্মীর বিপরীতে অন্তত দেড় লাখ টাকা ‘চক্র ফি’ পাচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় মোট ১৪টি দেশ কর্মী পাঠায়। তবে বাংলাদেশ ছাড়া কোনও দেশে এমন চক্র-ব্যবস্থা নেই।

New School Curriculum: Implementation limps along— এটি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, কাগজে-কলমে বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে নতুন পাঠ্যক্রম চালু হওয়ার দেড় বছর হয়ে গেলেও সেই পাঠ্যক্রম এখন অচলাবস্থায় আছে। কারণ কর্তৃপক্ষ এখনও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে পারেনি।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রশিক্ষণের অভাবের কারণে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষক জানেনই না যে কীভাবে পাঠদান এবং ছাত্রদেরকে দলবদ্ধ করবেন। এছাড়া, ইসলামপন্থীদের চাপের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়া দু’টি পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করতে হয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমটি অপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী এটি চালু করার আগে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বকেয়া আবারো ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি— বণিক বার্তা’র প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের বকেয়া উঠে গিয়েছিল প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণে। এর বড় অংশই ছিল বিদ্যুৎ খাতের।

বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে কিছু বকেয়া কমানো হলেও এখন তা আবারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ভর্তুকির মাধ্যমে এ বকেয়া পরিশোধ করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানিতে পর্যাপ্ত ডলারের সংস্থান করতে গিয়েও।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিদ্যুতের ক্রয়চুক্তিতে মূল্য নির্ধারণ করছে ডলারে। আবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানীকৃত এলএনজি এবং বিদেশি উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কেনা গ্যাসের মূল্যও ডলারেই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বকেয়ার পরিমাণকে আরো বড় করে তুলতে যাচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এ বকেয়া পরিশোধ এবং ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে সরকার এখন বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়ল— এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার অন্যতম শিরোনাম। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে সরবরাহ করা পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ওয়াসা আইন ১৯৯৬’-এর ২২ ধারা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের লক্ষ্যে পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এ নিয়ে ২০০৯ সালের পর গত ১৬ বছরে ১৬ বার পানির দাম বাড়াল ঢাকা ওয়াসা।

এই সংস্থাটি আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করেছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগে ছিল ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য একই পরিমাণ পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ছিল ৪২ টাকা।

এই সিদ্ধান্ত মিটারবিহীন হোল্ডিং, গভীর নলকূপ, নির্মাণাধীন ভবন ও ন্যূনতম বিলসহ সব ধরনের (পানি ও পয়োনিষ্কাশন) অভিকরের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে বলে ওয়াসা থেকে জানানো হয়েছে।

জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়বে— কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে করহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে।

অন্যদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেলেও বাড়ানো হচ্ছে না করমুক্ত আয়সীমা। অনেক পণ্যে ভ্যাটহার ১৫ শতাংশ করায় এর প্রভাব পড়বে বাজারে। সব মিলিয়ে আয় না বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাল, গম, ভুট্টা, সরিষাবীজ, পরিশোধিত সয়াবিন, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ারবীজ, তুলাবীজ, বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ, ক্রুড অয়েল, সার, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, ইনসুলিন, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের অত্যাবশ্যক ওষুধ এবং ভ্যাকসিন ও ওষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক ইত্যাদির ওপর বসতে যাচ্ছে বাড়তি শুল্ক।

পাশাপাশি, জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গেলে বা ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। অবসরে পার্কে ঘুরতে গেলে আগের চেয়ে খরচ বাড়বে। ক্লান্তি কাটাতে কোমল পানীয় খেতে গেলেও স্বস্তি নেই।

দুই শতাধিক ওষুধের দাম বেড়েছে— এটি দৈনিক আজকের পত্রিকা’র প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে একের পর এক ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলছে কোম্পানিগুলো।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ওষুধের দাম বেড়েছে বাজারে। এতে অন্যান্য খরচের পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয়ও বাড়ছে নাগরিকদের।

কিছু অসংক্রামক রোগ আছে, সেগুলোর জন্য রোগীকে সারা বছরই ওষুধ খেতে হয়। বিশেষ করে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীদের সারা বছরই ওষুধের ওপর চলতে হয়। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে এসব রোগীর ওপর খরচের চাপ বেড়েছে আরেক দফা।

Dollar crisis deepens economic woes in Bangladesh— নিউ এজ’র প্রধান শিরোনাম। বাংলাদেশে ক্রমাগত ডলার সংকটের কারণ বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়েই চলেছে। যার মাঝে রয়েছে মূল্যস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক খরচ, জ্বালানি সংকট এবং বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি।

ব্যাংকাররা বলছেন যে বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণপত্র বা ‘লেটারস অব ক্রেডিট’ (এলসি) খুলতে অসুবিধায় পড়ছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এপ্রিল মাসে পাঁচ হাজার ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ১৪ মাসের হিসেবে সর্বনিম্ন। গত মার্চেও এই মুদ্রার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৪৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল পাঁচ হাজার ৫৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!