নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মনিরুজ্জামান মনু (৪২)কে প্রকাশ্যে গুলি ও নৃশংস ভাবে পিটিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনার ৬ দিন পর মামলার অন্যতম আসামী নুরুল(২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (১২ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল বন্দর থানার মুরাদপুর এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর থানার নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকায় প্রকাশ্যে নৃংশস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি অফিসার ইন্সপেক্টর সাব্বির রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার বেলা ১১ দিকে মনিরুজ্জামান মনুকে একই এলাকার আসামিরা ঘর থেকে বাহির করে প্রথমে মাথায় গুলি করে উঠানে ফেলে দিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এঘটনা নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে নরসিংদী ঘোড়াশাল এলাকায় আসামী নুরুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে মামলার ১২ নং আসামি নুরুল(২৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আসামি নুরুলকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছেন বলেও জানান তিনি ।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার সকালে মনু মুরাদপুর নিজ বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী, ছেলে- মেয়ে ও দুই ভাগনির সামনে থেকে মনুকে ঘরের গেইটের তালা ভেঙ্গে টেনে হেঁচড়ে বের করে প্রথমে মাথায় গুলি করে উঠানে ফেলে দেয়। পরে মোফাজ্জল নামে এক ভাড়িটিয়া সন্ত্রাসী মাথায় বসে থাকে অন্যান্যরা পিটিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহত মনুর ৮ বছরের শিশু কন্যা ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।