ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার কুতুবপুরে ওয়াইফাইএর তার সরানোর কথায় বলিলে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান এবং পরবর্তীতে বেআইনীভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে নাদিমগংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দেলপাড়া গোলাপবাগ এলাকার সাহজাহান খানের স্ত্রী নাজমা বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,বিবাদীরা অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস, অসাধু, উশৃঙ্খল ও খারাপ প্রকৃতির লোকজন। বিবাদীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রহিয়াছে। বিবাদীদ্বয় আমার বাড়ীর উপর দিয়া একাধিক ওয়াইফাই লাইন টানিয়াছিল। তাহাদের উক্ত ওয়াইফাই এর তারের কারণে আমি আমার বাড়ির নির্মাণ কাজ করিতে পারি নাই। তাদেও এ কাজে বাধা প্রদান করা হলে গত ৩০ জুন দুপুর ১২ টায় আমি শ্রমিক নিয়া আমার বাড়ি নির্মাণ কাজ করাবস্থায় দেলপাড়া এলাকার ১। মোঃ নাদিম (৩৩), ২। মোঃ ফরহাদ (২৬),মোঃ নাসিম মিয়ার ছেলে মো.নাদিম ও ফরহাদ সঙ্গীয় আমিন, জামাল শেখ , কারির মোল্লার ছেলে নুর আলম নুরু, নজরুল মিয়ার ছেলে গোলাম কিবরিয়া সবুজ, নুর আলম নুরুর ছেলে স্বাধীনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন একত্রিত হয়ে বিবাদীদ্বয়কে ডাকিয়া তাহাদের ওয়াইফাই এর তার সরাইয়া নেওয়ার কথায় বলায় বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। ইহাতে আমার ছেলে- নাহিদ হাসান (২৮) বিবাদীদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করায় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হইয়া লোহার রড, পাইপ, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, বাঁশ, কাঠের ডাসা সহ বিভিন্ন লাঠি সোঠা নিয়া বে-আইনী জনতাবন্ধে অনধিকারে ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেলপাড়া গোলাপবাগ সাকিনস্থ আমার বাড়ির গেইটের ভেতরে প্রবেশ করিয়া আমার বিল্ডিং এর সামনে আমার ছেলে- নাহিদ হাসান (২৮)কে পাইয়া আমার ছেলের ওপরে হামলা শুরু করে। উল্লেখিত সকল বিবাদীরা আমার ছেলেকে এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম সহ রক্তাক্ত জখম করে। ৩নং বিবাদী আমিন আমার ছেলে নাহিদ হাসানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। ৪নং বিবাদী আমার ছেলের পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা আমাদের নির্মাণ বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়ের ৪৫ হাজার টাকা নিয়া যায়। আমার ছেলের ডাক-চিৎকারে আমি আগাইয়া গেলে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিয়া আমার মাথা ও কপালের সামনের উপরের অংশে মারাত্মক ফোলা জখম করে। আমি আহত হইয়া নিচে পড়িয়া গেলে ১নং বিবাদীর নির্দেশে ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়া এবং ৩, ৪, ৫. ৬ ও ৭নং বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা বিভিন্ন লাঠি সোঠা দিয়া আমাকে এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া আমার কোমড়, পিঠ, হাত, পা, ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলা চাপিয়া শ্বাস রোধ করে। ইহাতে আমার গলায় ১নং বিবাদীর নখের আচড় লাগে এবং ১নং বিবাদী আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের মোটা স্বর্ণের চেইন নিয়া যায়, যাহার মূল্য এক লক্ষ এগারো হাজার) টাকা। ঘটনার সময় ১, ২, ৩, ও ৪ নং বিবাদীরা আমার পরিহিত সালোয়ার কামিজ ছিড়িয়া প্রকাশ্যে আমার শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমার ও আমার ছেলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে উল্লেখিত সকল বিবাদীরা আমাকে ও আমার ছেলেকে খুন-জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি দিয়া আমার বাড়ি হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া আসিয়া আমাকে ও আমার ছেলেকে উদ্ধার পূর্বক ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, খানপুর, নারায়ণগঞ্জ-এ নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করাই।