নারায়ণগঞ্জ সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
সাংবাদিক সোহেলের মা’য়ের মৃত্যুতে মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের শোক
সরিষা ফুলের মধু আহরণে স্বাবলম্বী মৌয়ালরা
বকশীগঞ্জে ইউএনও’র বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা
ইসলাম শাহ উরফে পাগলা বাবার ৭ দিনব্যাপী উরস মোবারক উদ্বোধন 
প্রশ”সারাদেশে ছিনতাই, ধর্ষন ও হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন এর মানববন্ধন”
সোনারগাঁয়ে ২৫ কেজি গাঁজা ও পিকআপ ভ্যানসহ আটক-৩
আমতলীর দুই গ্রামে ৪ ইট ভাটা, পরিবেশসহ ফসল বিপর্যয়
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন
আমতলী উপজেলা শাখার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
রেলওয়ের জায়গা দখল করে শ্রমিকদল নেতা সফির ঘর নির্মাণ!
অসুস্থ বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনিরুল ইসলামকে দেখতে গেলেন মুহাম্মদ সাদরিল
ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মানেই চাঁদাবাজীর অভয়ারন্য!
বকশীগঞ্জে রফিক ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য কতদূর কী করার আছে ভারতের?
“সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার মানববন্ধন”
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন!
আমতলীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার নাটক!
জনগণের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলেছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না -মুফতি মাসুম বিল্লাহ
ইসলামপুর মোটর সাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু আহত দুই
সোনারগাঁয়ে ফেন্সিডিলসহ আটক-১
সোনারগাঁয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ 
আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ!
ফতুল্লায় গাড়ী চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর ও ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুস
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ট্রাইবুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ভয়ংকর যেসব মাদকে আসক্ত তিশা টয়া সাফা ও সুনিধি
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাগরনী ক্রীড়াচক্র ক্লাবের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন
নারায়ণগঞ্জ বধির উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমতলীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত
Next
Prev
প্রচ্ছদ
‘চিন্তিত সরকার, তবে পিছু হটবে না’

‘চিন্তিত সরকার, তবে পিছু হটবে না’

প্রকাশিতঃ

বিবিসি বাংলা

‘চিন্তিত সরকার, তবে পিছু হটবে না’এটি আজকের পত্রিকা’প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন। এখানে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে।

এতে ছয়জন নিহত এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ কয়েক শ আহত হয়েছেন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে সরকার।

সমাধানের উপায় নিয়ে ভাবলেও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও ছাড় না দেওয়ার অবস্থানেই ছিল সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা। আন্দোলন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গতকাল সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা।

বৈঠকে নেতারা মোবাইলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা নেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক নেতা বলেন, ‘পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কঠোর অবস্থানেই আছেন তারা। সবাইকে এমন নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে।

হামলা-সংঘর্ষে নিভল ৬ প্রাণ— এটি সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন চার শতাধিক। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দু’জন ও রংপুরের একজন রয়েছেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা প্রথমে জানিয়েছিল, পবিত্র আশুরার কারণে আজ বুধবার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। তবে রাতে তারা ঘোষণা দেয়, আজ দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি থাকছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে হলত্যাগের নির্দেশ। এমনকি, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছয়জন নিহত হওয়ার খবরটি আজ দেশের সকল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

‘স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার!’— এটি প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর। এখানে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।

মৃত্যুর আগের দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক শামসুজ্জোহা স্মরণে ফেসবুকে আবু সাঈদ লিখেছিলেন, “স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার!”

“আপনার সমসাময়িক সময়ে যাঁরা ছিলেন, সবাই তো মরে গেছেন, কিন্তু আপনি মরেও অমর। এই প্রজন্মে যাঁরা আছেন, আপনারাও প্রকৃতির নিয়মে একসময় মারা যাবেন। কিন্তু যত দিন বেঁচে আছেন, মেরুদণ্ড নিয়ে বাঁচুন। ন্যায্য দাবিকে সমর্থন জানান, রাস্তায় নামুন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান। প্রকৃত সম্মান ও শ্রদ্ধা পাবেন। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন না। আজন্ম বেঁচে থাকবেন শামসুজ্জোহা হয়ে।”

আবু সাঈদ তার বক্তব্য উপস্থাপনের পরদিনই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। শহীদ শামসুজ্জোহাও যেমন ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এক শিক্ষক সভায় বলেছিলেন, “আজ আমি ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত। এরপর কোনো গুলি হলে তা ছাত্রকে না লেগে যেন আমার গায়ে লাগে।” এই কথা বলার ঠিক পরের দিনেই বিক্ষুব্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র মিছিলের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি এবং ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে— এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এই প্রতিবেদনের শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী’র বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের (পিএমও) হলে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪’-এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করা জাতি। তাই বিশ্বদরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করেই চলব। সেভাবেই আমাদের গড়ে উঠতে হবে।”

“যারা মুক্তিযোদ্ধা, তাদের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করে শত্রুকে পরাজিত করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন। কাজেই তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।”

ছাদ থেকে ১৫ জনকে ফেলা হয় নিচে— এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের সময় একটি ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে বেশ কয়েকজনকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মুরাদনগরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ছাদ থেকে ফেলা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল এক হয়ে তাদের ওই ভবন থেকে নিচে ফেলে দেয় বলে আহতদের পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাদপুর এলাকায় কোটাবিরোধীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

এক পর্যায়ে কোটাবিরোধীদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী ওই এলাকার পাশের একটি ছয়তলা ভবনে আশ্রয় নেন। পরে ওই ভবনে গিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় ১২ থেকে ১৫ জন কর্মীকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।

Govt files leave to appeal against HC verdict on quota reinstatement বা কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রথম পাতার এই খবরও দেশের প্রায় সব পত্রিকায় এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরেই সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের চৌঠা অক্টোবর শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ১০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু সেই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

এরপর গত পাঁচই জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের পরেই নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এর আগে গত ১৪ই জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে সরকারি চাকরিতে সব কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়।

অস্ত্রধারী যুবকদের ধরতে মাঠে র‍্যাব ও গোয়েন্দা— এটি যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর। এখানে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে সোমবার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি করতে দেখা গেছে কয়েক যুবককে।

এই যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ও র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট এরই মধ্যে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে।

অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের আড়ালে বহিরাগতরা ঢুকে গুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের মতো তাণ্ডব চালিয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কারো শেখানো বুলি বলছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী— এটি সংবাদ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্ররা কারও শেখানো ‘বুলি’ বলছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “এগুলো তাদের নিজেদের বুলি নয়। তারা ভুল করছে। আমি মনে করি তারা আদালতে এসে তাদের দাবি বলুক।”

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন যে জনদুর্ভোগ, ধ্বংস, ভাঙচুর বা রক্তপাত ঘটালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের যে কাজ সেটা করবে।

সবকিছুর জবাব নিয়ে ছাড়ব: ছাত্রলীগ সভাপতি— এটি ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতার সংবাদ, যা অন্যান্য পত্রিকায়ও এসেছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, “সবকিছু মনে রাখা হবে, সবকিছুর জবাব নিয়ে ছাড়ব। আন্দোলন যাবে আন্দোলন আসবে, ছাত্রলীগ আছে, থাকবে।”

তিনি বলেন, “যারা কোটা আন্দোলন করেছে, তারা বলেছে যদি ১৮ সালের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল হয় তবে তারা সরে আসবে। প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল হয়েছে, তারা কি সরে এসেছে? যখন প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল হলো, তখন তারা কমিশন কমিশন নাটক শুরু হলো।”

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “তারা কি সাংবিধানিক শাসন সম্পর্কে জানেন না? আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ সম্পর্কে অবগত নয়? তারা আজ কোটা আন্দোলনের নামে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করল। এই রাজাকারের প্রেতাত্মারা আজ কোথায় নিয়ে গেছে এই আন্দোলন। তবুও ছাত্রলীগ বরাবরের মতো দায়িত্বশীল আচরণ করেছে।”

কিছু ব্যাংক চলছে ঋণ করে— এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন। এখানে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

টাকার সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত অর্থ না পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ঋণ নিচ্ছে। গত দুই দিনে তারা ধার করেছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, এক শ্রেণীর ব্যাংক পরিচালকরা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ নিচ্ছেন। কিন্তু দিন শেষে ওই অর্থ পরিশোধ করছেন না।

আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে বিশ্বে শেষ দশে বাংলাদেশ— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, দেশে কর্মজীবীদের বড় অংশই কাজ করছেন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোবিহীন অনানুষ্ঠানিক খাতে বা ইনফরমাল চাকরিতে।

সাধারণত যেসব চাকরিতে আইনি সুরক্ষা পাওয়ার মতো সুযোগ ও কাঠামো থাকে না; সেগুলোকেই এ খাতের অন্তর্ভুক্ত ধরে নেয়া হয়। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের শ্রমশক্তির ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বিশ্বে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, “আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সংকটের কারণে উচ্চ শিক্ষিত তরুণরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। আগে দেখা যেত শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি সরকারি চাকরির চেষ্টা করত। কিন্তু এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সবারই লক্ষ্য সরকারি চাকরি। কোটা আন্দোলনের মতো আন্দোলনেও বিষয়টির প্রভাব রয়েছে।”

 

 

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!