নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে ইউনিয়নগুলোর প্রতিটি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়েছে মরণনেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দী এলাকা। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছে এই চেঙ্গাকান্দী গ্রামটি অবস্থিত হওয়ায় সহজেই ডাকাতি করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।এছারাও মাদক এর ব্যবসা চলছে প্রকাশ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,একাধিক মামলার আসামী মাদক ব্যাবসায়ি ও ডাকাত মনির হোসেন মনুর নেতৃত্বে চলে এ মাদক ব্যবসা ও ডাকাতি।
মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত মনির হোসেন মনু উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
জানা যায় মনুর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর, নাঈম, উজ্জ্বল, তার ভাগিনা শাওন ও সাগর চেঙ্গাকান্দী এলাকায় মাদকের অভয় অরণ্য গড়ে তুলেছেন। দেদারসে বিক্রি করছেন ফেনসিডিল ও মরণ নেশা ইয়াবা। এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলেই নেমে আসে তাদের উপর অন্যায় ও অত্যাচার। এ মরণনেশা মাদকে দিন দিন এলাকার তরুণরা আসক্ত হচ্ছে। মাদক সেবনকারীদের উৎপাতে এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে ইদানিং কয়েকজন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করলেও বন্ধ হয়নি মাদক ব্যবসা। বরং দিন দিন এলাকায় মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত যুবক ও তরুণরা যোগ দিচ্ছে মাদক সেবনের সাথে ব্যবসায়ও।
মাদকের পাশাপাশি সন্ধ্যা নেমে এলে তারা নেমে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করতে,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটু যানজট হলেই দু তিনজনের একটি দল সুযোগ বুঝে প্রবাসীসহ সর্বস্তরের লোকদের অস্ত্রের মুখে সর্বস্ত লুট করে নেয় ।
এলাকাবাসী জানান এই চক্রটি এর আগে কুয়েত প্রবাসী এক লোকের কাছ থেকে ৬০ লক্ষ, চট্টগ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও এক সেনাবাহিনীর সদস্য কে চাকু মেরে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ।
এমনকি প্রবাসীদের সাথে থাকা পাসপোর্ট সহ সব কিছু ছিনতাই করে নিয়ে যায়, সোনারগাঁ থানা সহ বিভিন্ন থানায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও মাদকের মামলা। সোনারগাঁ থানা প্রশাসন এই অপকর্ম রুখতে না পারায় স্থানীয়রা হতাসায় দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় থানা সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁয়ে ৫৯৮ জন তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি রয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে আটক হলেও আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে
বেরিয়ে পুনরায় মাদকের কারবার করেন।
অভিযোগ উঠেছে, শুধু ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতাই নন, মাদকের কারবার থেকে প্রতি সাপ্তায় মোটা অঙ্কের চাঁদা নিচ্ছে প্রশাসনের একটি অসাধু মহল। ওই অসাধু কর্তারা সরাসরি
মাদকে জড়িত হচ্ছেন না বা চাঁদার টাকা আদায় করছেন না। তাদের সোর্সেরা মাদক কারবারিদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করছেন। এতে অনেকটা
প্রকাশ্যে ও বেপরোয়াভাবেই চলছে চেঙ্গাকান্দি এলাকায় মাদকের কারবার। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।