বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী তিনজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দ্বারা সংঘটিত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দাবি দিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এগুলোর মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে মেনে নেবেন। কিন্তু সেই সুযোগ শিক্ষার্থীরা দেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আক্রমণকারীদের প্রধান আক্রোশই ছিল পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের প্রতি। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে যে পুলিশ তাদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বিজিবিদের ওপরও হামলা করা হয়েছে। আমাদের র্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন একত্রে পারছিল না, তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবো।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, ছাত্রদের মিসগাইড করে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমাদের ছাত্রলীগের অনেকেই শাহাদাতবরণ করেছে। তিনজন পুলিশ মারা গেছেন। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বর্তমানে একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব এসব গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করা।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।