ষ্টাফ রিপোর্টার:
সকাল থেকেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে যখন বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত চলছিলো চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন তখন শিক্ষার্থীদের তৃষ্ণা মেটাতে কেউ এগিয়ে আসে পানি নিয়ে।এভাবে সকাল গড়িয়ে যখন আস্তে আস্তে দুপুর হতে শুরু করেছে তখন অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ শিক্ষার্থীদের সাথে একতা প্রকাশ করে কেউ বা বিস্কুট, কেউ বা কলা আবার কেউ রান্না করা খাবারও নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। যে যেভাবে পারছে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে।
চিত্রটি আজকের ৩রা আগষ্ট শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও তাদের সাথে একতা প্রকাশ করতে এভাবেই এগিয়ে আসে সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকরা।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আজ বিক্ষোভ মিছিল করে। তাদের সাথে এসে যোগ দেয় চিকিৎসক, অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ। এসময় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতিধ্বনিতে।
নাম প্রকাশে অনেক অভিভাবক এসময় জানান,এই আন্দোলনে আমার সন্তান,ভাই, বোনও আছে। তারা তো সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের ন্যায্য দাবী নিয়ে তারা এসেছিলো কিন্তু স্বৈরাচারী সরকার কি করলো তাদের পোষ্যবাহিনীদের লেলিয়ে দিয়ে নিরহ শিক্ষার্থীদের হত্যা করলো। এরা তো মানবতাবিরোধী কাজ করেছে। আজকে অন্যের সন্তান মারা গেছে আগামীকাল যে এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমার সন্তান মারা যাবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে। তাই একজন অভিভাবক হিসেবে তাদের সাথে একতা প্রকাশ করে আমরাও এগিয়ে এসেছি।
আরেকজন অভিভাবক জানান,নাম কি বলবো বলেন। বললেই তো মামলা টামলা দিয়ে করবে হয়রানি। তার থেকে নাম ছাড়াই কথা বলি।আপনেরা মিডিয়ার মানুষই তো দেখছেন একটা শান্ত আন্দোলনকে কিভাবে হামলা চালিয়ে নিরহ শিক্ষার্থীদের হত্যা করছে একের পর এক। তাই আর বসে থাকতে পারলাম না। আমার সন্তানকে নিয়ে আজ আমিও আন্দোলনে এসেছি। যতটুকু সামর্থ্য তাদের জন্য খাবারও নিয়ে এসেছি।
এভাবেই সকাল থেকে দুপুর আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার সাথে সাথে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য অভিভাবকদের খাবার নিয়ে আসা।