ষ্টাফ রিপোর্টার:
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘দীর্ঘ হবে সরকারের মেয়াদ’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে এখন অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকার কত দিন থাকবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
সরকারের মেয়াদ নিয়ে উপদেষ্টারা সুস্পষ্ট কিছু বলছেন না। তারা বলছেন, নির্বাচনের আগে দরকার রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংস্কার, রাষ্ট্র রূপান্তর।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন দাবি করলেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংবিধানে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও এই সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের মতে, এটা গণ-অভ্যুত্থান এবং আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার। কাজেই এর প্রধান কাজ নির্বাচন নয়। এর প্রধান কাজ হলো যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলোর সমাধান করা। নির্বাচন তার মধ্যে একটা। সময়মতো এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ বা এমন সরকারের অধীনে নির্বাচনের সময়সীমা বিষয়ে কিছু বলা নেই।
শুধু বলা আছে, মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কোনো দৈব দুর্বিপাকে সেটা সম্ভব না হলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘তিউনিসিয়ার জেসমিন প্লিবের ভুলগুলো বাংলাদেশ এড়াতে পারবে কি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিউনিশিয়ার এক ফল বিক্রেতা তাইয়িব মোহাম্মদ বুআজিজি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে কোন ফলাফল না পাওয়ায় স্থানীয় গর্ভনর অফিসের সামনে উপস্থিত জনতার সামনে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় তিউনিসিয়ার জনগণ। পরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ২০১১ সালের ১৪ই জানুয়ারি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে দখল করে রাখা ক্ষমতার মসনদ ছাড়তে বাধ্য হন বেন আলি। পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে।
এই অভ্যুত্থানটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায় জেসমিন রেভল্যুশন বা জেসমিন বিপ্লব নামে। এই আন্দোলনের ¯্রােত আরবের অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত।
তিউনিসিয়ার মতো গণবিপ্লবের মুখে দীর্ঘদিনের শাসককে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তিউনিসিয়ার মানুষ যেমন খাদ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি ও বেকারত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল তেমনি ক্ষুব্ধ ছিল এখানকার মানুষ।
এ বিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে গত ৫ই আগস্ট ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখা ক্ষমতা ত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
তবে শাসক দীর্ঘদিন কুক্ষিগত করে রাখা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তিউনিসিয়ায় রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল।
এরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করা হলেও টালমাটাল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, আর্থিক দুরবস্থা, বেকারত্বসহ নানা সংকট থেকে আর বের হতে পারেনি তিউনিসিয়া।
বাংলাদেশও এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। যা মোকাবিলা করতে না পারলে বাংলাদেশেও তিউনিসিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশার চাপে নতুন সরকার’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসন উৎখাতের পর নবগঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকারকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।
পূরণ করতে হবে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ অভিমত জানিয়েছেন।
সরকার প্রধান গুরুত্ব দিচ্ছে ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকে। তবে আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
কার্যত একদলীয় শাসনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা খর্ব, অপশাসন-দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, উচ্চ বেকারত্বে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভে সাধারণ মানুষের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল অভ্যুত্থানে।
তাদের ক্ষোভ প্রশমন করতে হবে নতুন সরকারকে বেহাল অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং বিপুল বিদেশি ঋণের চাপ মোকাবিলা করতে হবে।
অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদবিষয়ক অস্পষ্টতা থাকায় অভ্যুত্থানে শরিক রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন চাইছে– তাও সামলাতে হবে বলে বিশ্লেষকরা বলেছেন।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকবেন সব মন্ত্রণালয়ে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সব মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকবেন। কীভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে, কাঠামো কী হবে, সেটি পরে ঠিক করা হবে।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘সহকারী উপদেষ্টা’ বা এ রকম কোনো পদায়ন করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদারকির সুযোগ করে দেওয়া।
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সব মন্ত্রণালয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত থাকবেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারে সদস্য সংখ্যা ১৭। ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ নিতে পারেননি।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্যোগ মুহূর্তে মধ্যবর্তী সরকার প্রয়োজন’
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে রুলিং দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগ বলেছে দুর্যোগ মুহূর্তে মধ্যবর্তী সরকার দরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন ও রুলিং ইস্যু করেন।
একই সাথে সন্ধ্যা ৭টায় তারা ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিতে নবনিয্ক্তু অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান অংশ নিয়েছিলেন।
গুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে জানানো হয়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।
সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায় কিনা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মতামত চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
নয়টার দিকে আপিল বিভাগের মতামত পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘আত্মরক্ষা ও স্থানীয়ভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় নেতাকর্মীরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিরোধী দলের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নিজেদের রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সদ্য ক্ষমতা হারানো দল আওয়ামী লীগ। স্থানীয়ভাবে নিজেদের সংগঠিত করারও চেষ্টা করছে তারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানিয়েছে, আগামী দিনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। দলের হাল ধরতে পারেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ওবায়দুল কাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে—এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে থেকে আওয়ামী লীগকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাননি দলের নেতাকর্মীরা।
একাধিক সূত্র জানায়, দু-চারজন বাদে দলের সব শীর্ষস্থানীয় নেতা এখনো দেশে আছেন। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
দলের নেতাকর্মীদের আশঙ্কা, অন্তবর্তীকালীন সরকার কাজ গুছিয়ে নেওয়ার পরপরই দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা গ্রেপ্তার হতে পারেন। সরকারের গতিবিধি বুঝে মাঠে নামার কর্মসূচি নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এরই মধ্যে দেশে থাকা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তিনি আপাতত স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়া ও প্রতিবাদ জানানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত দুই দিনে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।
জয় আরো জানান, আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। দলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতন: ৫২ জেলায় সংখ্যালঘুরা ২০৫টি হামলার শিকার’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুটি সংগঠন গতকাল জানিয়েছে যে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হাজার হাজার হিন্দু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে এবং বহু মন্দিরে হামলা ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অসংখ্য নারী লাঞ্ছনার সম্মুখীন হয়েছে এবং বেশ কিছু জায়গায় খুনও হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এই তথ্য তুলে ধরেন।
ঐক্য পরিষদের তিনজন সভাপতির একজন নির্মল রোজারিও বলেছেন, “আমরা সুরক্ষা চাই কারণ আমাদের জীবন একটি বিপর্যয়কর অবস্থায় রয়েছে”।
চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ব্যাপক ভয়, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। এই অস্থিরতার ফলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সেইসাথে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলীতে, সমস্ত প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থের পাঠ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘৩৬১ থানায় পুলিশ মাঠে কবে’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার পতনের চার দিন পরও পুলিশ বাহিনীকে মাঠে নামানো যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।
ডাকাত আতঙ্কে রাত হলে মহল্লায় ঢোকার মুখে পাহারা বসাচ্ছে এলাকাবাসী। খুন, সহিংসতার বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের ৩৬১ থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো মাঠপর্যায়ে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়নি।
পুলিশ বাহিনীর মাঠে ফেরা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
নবগঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়টি রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো জোর দিচ্ছে এ বিষয়ে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতায় বলপ্রয়োগের কারণে প্রাণহানির ঘটনায় জনরোষে পড়েছে পুরো পুলিশ বাহিনী।
উত্তেজিত জনতার হামলায় অন্তত ৭৫ জন পুলিশ নিহত হয়েছে। এ কারণে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর দাবি তুলে প্রায় পাঁচ দিন হলো কর্মবিরতিতে আছেন দেশের অধিকাংশ পুলিশ সদস্য।
দেশের অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি। দফায় দফায় নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। ফলে ভেঙে পড়ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
তথ্যসুত্রঃ বিবিসি বাংলা