অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভনিং বডি ভেঙে দেওয়া সহ প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ও সাথী চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করা নিয়ে ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য চারদিন যাবৎ স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় ছাত্ররা বর্তমান গভনিং বডি বাতিল সহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে গভনিং বডির তিন সদস্য ও প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের আলোচনা করে তিন দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। গভনিং বডির সদস্য ও বিকেএমইএর সহ সভাপতি সোহেল সারওয়ার জানান ছাত্রদের দাবি গুলো যথার্থ।এরমধ্যে রয়েছে শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ফেসবুক থেকে অনেক শিক্ষক ওছাত্রদের স্টেটাস এবং ফেসবুক প্রোফাইল লাল রং করার কারনে চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন। এতে শিক্ষক ও ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তাঁরা তিনজন শিক্ষকের বরখাস্ত দাবি করলে আমরা তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে সময় নিয়েছি।
এদিকে প্রধান শিক্ষক গতকাল সকালে শিক্ষার্থীদের ম্যাসেজ দিয়ে রবিবার থেকে স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থাকার নোটিশ পাঠানো হলেও বিকেলে আবার ম্যাসেজ পাঠিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। একজন অভিভাবক হাবিবুর রহমান জানান সারাদেশে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেনো বন্ধ রাখা হয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা।
এদিকে স্কুলে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে স্কুলের সাবেক ছাত্র ও বিএনপি নেতা এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবু কাওসার আশা জানান তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে সমস্যার কথা জেনে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। প্রধান শিক্ষকের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আন্দোলনকারী সাবেক ছাত্র আবুল হাসান জানান হেড মাষ্টার, মাহবুবর রহমান ও সাথী চক্রবর্তী সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন শীল এবং বর্তমান সভাপতি চন্দন শীলের স্ত্রী সুতপা শীলের সহযোগিতায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে স্কুলে লুটপাট করছে এবং শিক্ষার পরিবেশ বিঘœ ঘটাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের সময়ে মাহবুবর রহমান আমাদের বাঁধা সৃষ্টি করে আন্দোলনে যোগ দিতে। এদিকে সাবেক সভাপতি চন্দন শীল এবং তার স্ত্রী সুতপা শীলকে খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় অন্যান্য গভর্নিং বডির সদস্যরা আমাদের সাথে কথা বলে দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা তিন দিনের সময় নিয়েছে। আজকে সোমবার আবার আলোচনা হবে।
প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া জানান, ছাত্রদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা সভাপতিকে না পেয়ে অন্যান্য গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে কথা বলছি।