থানায় অভিযোগ
জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের চিহ্নিত ভূমিদস্যু,চাঁদাবাজ ও দখলবাজ, জাকির হোসেন হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি এবং নানান অপকর্মের হোতা আব্দুর রশিদ ওরফে রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের মৎস্য খামার দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ব্যাপারে সাইদুর রহমানের শ্যালক মোঃ আল আমিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এসআই জুয়েল শেখকে অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে উত্তর নরসিংপুর এলাকার মৃত স্বপন মিয়ার পুত্র মোঃ আল আমিন উল্লেখ করেন, বিবাদী- মোঃ রশিদ মেম্বার, খোরশেদ সর্ব পিতা- আজগর আলী বেপারী, মজনু বেপারী পিতা মনির বেপারী, সবুজ পিতা: শহিদুল ইসলাম মেম্বার, সর্ব সাং- নবি নগর, থানাঃ ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন বিবাদীদের গন, গত ০৫/০৮/২০২৪ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৫:০০ আমার ভগ্নিপতি- সাইদুর রহমান, পিতাঃ মৃত আলী হোসেন, সাং- উত্তর নরসিংপুর, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ এর বক্তাবলী ঘাট সংলগ্ন মাছের খামারের অফিস ভাংচুর করে। অফিসের ভেতরে থাকা প্রায় ১,৫০,০০০/- টাকার মাছের খাবার ও স্টীলের আলমারীতে থাকা নগদ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, ল্যাপটপ, টিভি সহ আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রাদী, দলিল লুটপাট করিয়া। এরপর গত ০৬/০৮/২০২৪ইং তারিখ ভোর ০৬:০০ ঘটিকা হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত উল্লেখিত বিবাদীরা ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভগ্নিপতির মাছের খামার হইতে জেলে দিয়া প্রায় ১,৫০,০০,০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার মাছ ধরিয়া নিয়া যায়। এছাড়াও বিবাদীরা গত ১৬/০৮/২০২৪ইং তারিখ হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমার ভগ্নিপতির বর্ণিত মাছের খামার জোর পূর্বক দখল করিয়া রাখে এবং বিভিন্ন লোকজন দিয়া আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে।
এ ব্যাপারে সাইদুর মৎস্য খামারের মালিক মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর যাবত উক্ত মাছের খামারটি পরিচালনা করে আসছি।৮ বছর যাবত সরকারের নিয়ম মোতাবেক ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছি। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লিটন এর কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত দলিল করে উক্ত খামারটি পরিচালনা করে আসছি। কৃষি ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা লোন নিয়েছি।
মৎস্য খামারটি বড় করেছি।যার সকল ডকুমেন্ট কৃষি ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু ইউপি মেম্বার রশিদ,তার ভাইয়েরা জোরপূর্বক আমার খামারটি লুটপাট, ভাঙচুর করে দখল করে নিয়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে।
উল্লেখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাদী ও ভূক্তভোগী পরিবার।