ষ্টাফ রিপোর্টার:
বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে পরাজিত হওয়ার ক্ষোভে প্রধান শিক্ষককে জোড়পুর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফতুল্লা মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম ইব্রাহিমকে পদত্যাগে বাধ্য করতে তার বাড়িতে হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের পরাজিত সভাপতি মুসলিমনগরের মৃত ওহাব সরদারের ছেলে আবুল কাশেম গংদের বিরুদ্ধে।
সভাপতি পদের জন্য সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম ও এড. সুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এড. সুজন কে সভাপতি নির্বাচিত করে। তৎকালীন সময়ে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আবুল কাশেমের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সরকারের পট পরিবর্তনের পর সারা দেশে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনের সুযোগকে কাজে সুচতুর আবুল কাশেম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমকেএম ইব্রাহিমেকে পদত্যাগে বাধ্য করতে কূটকৌশল অবলম্বন করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ আগষ্ট শুক্রবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহীমকে জোরপুর্বক পদত্যাগ করারনোর জন্য পরাজিত সভাপতি আবুল কাশেম তার অনুসারীদের নিয়ে সারদিন বিদ্যালয়ে অবস্থান করে। আবুল কাশেম ও তার অনুসারীরা জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক এমকেএম ইব্রাহিম চিকিৎসার জন্য ছুটিতে আছেন।
এরপর বিকাল ৫ টা দিকে আবুল কাশেমের অনুসারী মৃত.মজিদ সরদারের ছেলে মুসলিম,মৃত.আসাদ আলীর ছেলে আজিজ মাষ্টার,হাজি মহসিনের ছেলে মোক্তার হোসেন,মুহাম্মদের ছেলে ইদ্রিস,মফিজউদ্দিন বেপারীর ছেলে কালাম, মৃত.মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে ইদ্রিস আলী মিন্টুসহ প্রায় ৫০/৬০ জন নরসিংপুর প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানকে হুমকী দেয়। এতে তার স্ত্রী-সন্তান ভীতসন্তট হয়ে কান্নাকাটি করে এবং একে ইব্রাহিমকে ফোন দিলে রাত ১০টায় তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় বিদ্যালয়ে আগে থেকেই পরাজিত কাশেম ও তার অনুসারিরা সংঘবদ্ধভাবে উপস্থিত ছিলো। প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হওয়া মাত্র তার উপর কাশেম এর অনুসারীরা মারমুখী হয়ে উঠেন এবং তাকে জোড়পুর্বক পদত্যাগ পত্রে সই করাতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে আবুল কাশেমের মুঠোফোনে জানতে একাধিকার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কাশেমের সাথে থাকা আজিজ মাষ্টারের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আপনি ওনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন আমরা বাসা গিয়েছি কিনা। তাছাড়া উনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। দিনের পরিবর্তে রাত ১০টায় কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাত ৯টায় উনার স্কুলে আসার কথা ছিলো। তাছাড়া উনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখেই পদত্যাগ করেছেন। রাত ৯টায় শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে স্কুলে কেনো থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তওে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।