পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এমন খবরে ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে বিশাল সাম্রাজ্য ছাড়াও অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পর তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই করছে। বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে কি পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে সে বিষয়টি জানায়নি।
কারণ এখনও সব ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়নি। সব ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য পেলেই প্রকৃত অস্বাভাবিক লেনদেনের চিত্র উঠে আসবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আমরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) বা সন্দেহজনক কার্যক্রম প্রতিবেদন (এসএআর) সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম।
এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবগুলো সম্পর্কে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পরেই তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে কর্মরত গাজী মো. মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের পাশে স্থানীয়দের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে, ভয় দেখিয়ে কিংবা রিমান্ডে নিয়ে জমি লিখে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর পূর্বাচলের পাশে বিস্তীর্ণ জমিজুড়ে গড়ে উঠছে ‘আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটি’। এ প্রকল্পের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সম্পৃক্ততা নেই। পূর্বাচলের ওই আবাসন প্রকল্পটির বর্তমান বিক্রয়যোগ্য সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। মোজাম্মেল-ফারজানা দম্পতির অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভূমি দখলের বিষয়টি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় এবং তা দুদকের নজরে আসে।
এরমধ্যে স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।