ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর কাঠপট্রি এলাকায় অবস্থিত রেম্বো ডাইন নামে এক প্রতিষ্ঠানে লুট চালিয়ে বিএনপির উপর দোষারোপ করার অভিযোগ উঠেছে নতুন সৈয়দপুর এলাকার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে সম্রাট ও কবিরগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গোগনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাসেল আহমেদ মন্টু নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সম্রাটগংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নতুন সৈয়দপুর এলাকার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে সম্রাট ও কবির,আবদুল কাদিরের ছেলে আনসার,রশিদের ছেলে কাওসার ও মো.হাশেমসহ প্রায় ২৫/৩০জন অজ্ঞাতনামা আসামী উক্ত এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যকলাপ করে বেড়ায়। উপরোক্ত বিবাদীগণ দীর্ঘ দিন যাবৎ সৈয়দপুর কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত রেম্বো ডাইন নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লুট করে গোগনগর বিএনপি যুবদলের নাম দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২২ আগষ্ট বিকেল সোয়া ৫টায় উল্লেখিত বিবাদীগণ মিলিত হইয়া উপরোল্লিখিত প্রতিষ্ঠানটি লুটতরাজ শুরু করে। জানতে পেয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ জসিম উদ্দিন সাহেব সহ কিছু শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ঢুকে বাধা দিতে গেলে বিবাদীগণ কোন কিছু না বলিয়া আমাদের উপরে হামলা করে। বিবাদীগণ আমাদের এলোপাথারী কিল ঘুষি লাথি মেরে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক নিলা ফুলা জখম করে। একপর্যায়ে ১নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি বাচার জন্য বিবাদীর লোহার এঙ্গেলের আঘাতে আমার ডান হাতে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের গ্রাম বাসী ছুটে আসলে আমরা প্রানে রক্ষা পাই।
স্থানীয়রা জানান,সম্রাটগং প্রায় কয়েক বছর যাবত অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্নভাবে লুটতরাজ চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়েছে। আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের মেয়াদান্তে সাংসদ শামীম ওসমানের ভুমিদস্যুতার অন্যতম হোতা অস্ত্রতন্ত্রের কান্ডারী শাহ নিজামের সাথে রাজনীতি করেছে এ সম্রাট। শাহ নিজামকে নিজের ছোটভাইয়ের উকিল বাবা বানিয়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো সৈয়দপুর জুড়ে অপরাধের তান্ডবলীলা চালালেও তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পায়নি। শেখ হাসিনাসহ দলের নেতাকর্মী পালিয়ে গেলেও এখনও বীরদর্পে এলাকায় থেকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য শুরু করেছে।
আওয়ামী স্বৈরশাসনের অন্যতম কান্ডারী সৈয়দপুর এলাকার ত্রাস সম্রাট গংদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্য হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সৈয়দপুরের সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।