ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আমলাপাড়াস্থ নাঃগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্র দে ও প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল সাইফ রিজন এর অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির বিচার চেয়ে পঞ্চায়েত কমিটির নিকট দরখাস্ত করেছেন উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।
উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্র দে ও অধ্যাপক পরিচয় দানকারী প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল সাইফ ওরফে রিজন মিলে বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতি করেছে তার কিছু চিত্র নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ
১। ১৪/১২/২০২২ তারিখে সাবেক অধ্যক্ষের অবসর গ্রহণের পর সহকারি প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াছমিন-কে কাগজে- কলমে দায়িত্ব দিলেও তা বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি নিজেই দায়িত্ব পালন করেন।
২। ১৪/১২/২০২২ তারিখ হতে অদ্যবদি (২ বছর) যাবৎ অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
৩। ১৪/১২/২০২২ তারিখ হতে মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা করে বেতন বাবদ উত্তোলন করেন।
৪। প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষের পদ ধরে রাখার জন্য মামলা বাবদ মে ২০২৪ তারিখে প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
৫। বছরের প্রথমে প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীদের খাতা বিতরনের জন্য ভাউচারের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তোলন করেন কিন্তু উক্ত খাতা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিক্রি করার পর বিক্রিয়কৃত টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা করেন নাই।
৬। প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার খাতা ও পুরোনো বই, অব্যবহৃত আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা করেন নাই।
৭। প্রশংসাপত্র এবং ছাড়পত্র উত্তোলনের জন্য প্রতি ছাত্রের নিকট হতে ৩০০-৫০০ টাকা আদায় করে কিন্তু উক্ত টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা করেন নাই।
৮। ২০১২ সাল হতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল সাইফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের নিকট হতে রিসিট এর মাধ্যমে প্রতিমাসের বেতন উত্তোলনের নামে কারচুপি করে প্রতিষ্ঠান প্রধান এর যোগসাজসে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন যার পরিমান ১২ লক্ষ টাকা।
৯। এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের অকৃতকার্য দেখিয়ে পরবর্তীতে তাদের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা অর্থবানিজ্যের মাধ্যমে চূড়ান্ত পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করেন।
১০। এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বোর্ড নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে ছাত্রীদের নিকট হতে প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল সাইফ ও সাবেক প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।
১১। সাবেক প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্থবাণিজ্য করেন।
১২। সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগীদের নিকট হইতে প্রতিষ্ঠানের ডোনেশন বাবদ লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা না করে সাবেক প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেন।
১৩।ছাত্রীদের নিকট হতে মাসিক বেতন উত্তোলন করে এবং প্রতিদিনের হিসাব প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সাবেক প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ গত দুই বছর যাবত তা করেননি।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।