ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইর কাপইড়া পট্রি এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট পেট কাটা রকি ও উৎসর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
চিহ্নিত মাদক সম্রাট রকি ওরফে পেট কাটা রকি ও উৎসর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ মাদক বিক্রেতা চক্র ইসদাইর কাপইড়া পট্রি,ইসদাইর বাজার,গাবতলী, চানমারী এলাকায় সর্বদা ইয়াবা,গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। শুধু মাদক বিক্রি নয় বিএনপির নাম ব্যবহার করে নিরীহ লোকদের মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে রীতিমতো ফেরী করে মাদক বিক্রি করা হচ্ছে।
ফতুল্লা থানার ইসদাইর কাপুরাপট্টি এলাকায় প্রকাশ্যেই চলছে জমজামাট এই মাদক ব্যবসা। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন এই মাদক ব্যবসায়ীরা এতোটাই ভয়ংকর যে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পায় না। তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকায় একজন পুরুষ মেম্বার এবং একজন মহিলা মেম্বার রয়েছেন। কিন্তু তারা অসহায়। এলাকার স্থানীয় মহিলা মেম্বারের বাড়ির পাশেই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রকি, উৎস ও তার অনুসারীরা সারা দিন রাত প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে মাদক ব্যবসা সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াতো। একাধিক বার মাদক সহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলখাটে রকি ও উৎস। তারপরও স্বভাব বদলায়নি। বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব এলাকায় কাজ না করায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মহা উৎসবে ইয়াবা ও গাজা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। অপরদিকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী এলাকা ছেড়ে গা টাকা দিলেও মাদক সম্রাট রকি ও উৎস বিএনপি’র পাতি নেতাদের ম্যানেজ করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি এলাকার নিরীহ লোকদেরকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের মামলায় ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। ২ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী রকি ও উৎসের মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সেনাবাহিনী ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।