ষ্টাফ রিপোর্টার:
পাগলার মুন্সিবাগ শহীদ নগর এলাকায় বাসা থেকে বের করে তা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে হারাধনগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অঅবদুল বারেকের স্ত্রী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে হারাধনগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীরা একদল সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক হয়। বিবাদীরা এলাকায় লোকজনের সহিত অযথা ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি ও মারধর করিয়া আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগষ্ট সকাল ৯ টায় হারাদন দাস (৬৫), পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ কবির, পিতা- আঃ মালেক, আতাউর রহমান, পিতা- অজ্ঞাত, সামসুল হক পিতা- অজ্ঞাত, সামা দাস, পিতা- মনোহর দাস, হৃদয় , পিতা- হারাদন দাস, মিজান মোল্লা , পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ সজল , পিতা- মোঃ খলিল, আসলাম , পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ রাসেল , পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ সোহেল , পিতা- মোঃ হোসেন, সর্ব সাং- শহীদনগর, মুন্সিবাগ, কুতুবপুরসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে,উল্লেখিত সকল বিবাদীরা তাহাদের সহযোগী আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া জোরপূর্বকভাবে আমাদের উক্ত ঠিকানার বাসায় প্রবেশ করিয়া আমাকে লোহার রড ও লাঠি-সোটা দ্বারা এলোপাথারীভাবে মারধর করিতে থাকে। এরপর আমার বাসায় থাকা আমার নাতি-নাতিন নাহিদ (২২), নাদিয়া (১৮) আগাইয়া আসিয়া আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করিলে বিবাদীরা তাহাদেরকেও এলোপাথারীভাবে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করিয়া আমাদেরকে বাসা হইতে বাহির করিয়া দেয় এবং আমার উক্ত ঠিকানার বাসায় তালাবদ্ধ করিয়া রাখিয়া আমাদের বাড়ি-ঘর দখল করার চেষ্টা করে। যাহা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করা রহিয়াছে। এরপর বিবাদীরা আমাদেরকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আমরা যদি তাহাদের সহিত বেশি বাড়াবাড়ি কিংবা মামলা-মোকদ্দমা করি, তাহা হইলে আমাদের সকলকে জানে মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদের কর্মকান্ডের বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করিলে তাহারা আমার বাসায় আসিয়া আমার বাসার দরজা খুলিয়া দেয়। এমতাবস্থায় উল্লেখিত বিবাদীরা এহেনকর্মকান্ড করিয়া আমাদেরকে দারুনভাবে হয়রানি করিতেছে এবং যেকোন আরো বড় ধরনের ক্ষতিসাধণ করিতে পারে বলিয়া আমার আশঙ্কা হইতেছে বিধায় আমি পরিবারের লোকজন নিয়া দারুনভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।