ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা থানাধীন ভুইগড় ক্যানেলপাড় এলাকায় মৎস্য খামার থেকে মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার রনিগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আইয়ুব আলীর ছেলে মো.এরশাদ মিয়া ফতুল্লা মডেল থানায় রনিগংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে এরশাদ মিয়া উল্লেখ করেন যে, আমি ও আমার সঙ্গীয় অংশিদার নাছির ভূইয়া (৪৩) ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় পশ্চিম পাড়া ক্যানেল পার সাকিনস্থ মাছে গ্যার দিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। বিবাদীদ্বয় এলাকার সন্ত্রাসী ও অসৎ চরিত্রের লোক, ১নং বিবাদী এসি ল্যাংন্ডের বড় অফিসার পরিচয় দিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি জবর দখল, প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে। ৩১ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় দেলোয়ারের ছেলে রনি এবং দেলোয়ার হোসেন আমাকে ভূইগড় রাস্তার পাশে দেখিতে পাইয়া আমাকে আমার মাছে গ্যার ছাড়িতে বলে, যাহাতে আমি রাজি না হওয়া বিবাদী আমাকে জানায় যে, যদি আমি মাছের গ্যারের ব্যবসা করি তাহা হইলে বিবাদীদ্বয়কে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে নতুবা তাহাদের কাছে আমার মাছের গ্যার বুঝাইয়া দিতে হবে, তাহা না হইলে বিবাদীদ্বয় আমার মাছে গ্যারে বিষ দিয়া মাছ মারিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য রবিবার ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টায় আমি ও আমার সঙ্গীয় অংশিদার নাছির ভূইয়া (৪৩) ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় পশ্চিম পাড়া ক্যানেল পার সাকিনস্থ মাছে গ্যার সংলগ্ন যাইয়া দেখিতে পাইয়া আমার গ্যারে থাকা প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মাছ মরে ভাসিয়া উঠে আছে এবং আরও আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার মাছ মরিয়া যাওয়ার অবস্থায় আছে। পরবর্তীতে আমি খোজ খবর নিয়া জানিতে পারি বিবাদীদ্বয় এরূপ কার্যকলাপ করিয়াছে।
একই দিন ফতুল্লা মডেল থানায় রনির বিরুদ্ধে আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুইগড় এলাকার নঈমউদ্দিন সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদার। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন,
বিবাদী এলাকার সন্ত্রাসী ও অসৎ চরিত্রের লোক, বিবাদী এসি ল্যাংন্ডের বড় অফিসার পরিচয় দিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি জবর দখল, প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে। গত ২৫ আগষ্ট সকাল ১১ টায় আমার ছেলে কামাল (৩৩) ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় রাস্তা দিয়া যাওয়ার সময় ১নং বিবাদী আমার ছেলেকে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে, আমার ছেলে বিবাদীকে গালি গালাজ করিতে বারণ করিলে বিবাদী ডাক চিৎকার করিয়া অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে ডাকিয়া আনিয়া আমার ছেলেকে এলোপাতারি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আমার ছেলের ডাক চিৎকার শুনিয়া আমি বড় ছেলে জামাল (৩৮) আগাইয়া আসিয়া বিবাদীকে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগন আমার বড় ছেলেকেও মারধর করিয়া, ঐ সময় অজ্ঞাত নামা বিবাদীগনের সহযোগিতায় ১নং বিবাদী আমার ছোট ছেলে কামালকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া গুরুত্বর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার বড় ছেলে আগাইয়া আসিয়া আমার ছেলেকে বিবাদীর নিকট হইতে উদ্ধার করার চেষ্টা করিলে ১নং বিবাদী আমার বড় ছেলেকেও হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া গুরুত্বর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমার দুই ছেলেকে বিবাদীগনের নিকট হইতে উদ্ধার করিলে বিবাদীগন আমার ছেলেদের জানায় যে, যদি তাহারা এ ব্যাপারে কেহকে কিছু জানায় বা কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করে তাহা হইলে তাদের মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে সহ জানে মারিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি এলাকার লোকজনের নিকট হইতে খবর পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে যাইয়া আমার দুই ছেলেকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। এতদিন উল্লেখিত বিষয়ে স্থানীয় ভাবে শালিসি বিচারে ব্যর্থ হইয়া এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগনের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করার আবেদন করিলাম।