ষ্টাফ রিপোর্টার:
মো.মাসুদ যিনি ২০০৩ সালে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থেকে নারায়ণগঞ্জে আসেন কর্মের সন্ধানে। আশ্রয় নেন ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিলাসনগর খা পুর এলাকায়। প্রথমে সে এখানে এসে মাটি কাটার লেবার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর কখনও রিক্সা চালক আবার কখনও ড্রেন পরিস্কারেরও কাজ করেছেন তিনি। হঠাৎ যুক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের হাজী সাহেব হিসেবে খ্যাত শহর ও শহরতলীর সকল অপকর্মের হোতা আজমেরী ওসমানের শিবিরে। সেখানে যুক্ত হয়েই চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকার সিএনজি ষ্ট্যান্ডটি দখলে নেয়ার পর আর পিছনে তাকাতে হয়নি মাসুদের।
বিলাসনগর খা পুর এলাকার স্থানীয়রা জানান, আজমেরী ওসমানের শিবিরে যুক্ত হওয়ার পর সিএনজি ষ্ট্যান্ড দখলের পর থেকেই টাকার নেশায় মত্ত হয়ে উঠে মাসুদ। আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড নাসির ওরফে নোয়াখাইল্লা নাসিরের সাথে আতাত করে নগরীর বিভিন্নস্থানে চাদাঁবাজি শুরু করে এ মাসুদ। অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা দিয়ে ফতুল্লা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে এ মাসুদ। নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে তার নামের পরে যুক্ত হয় মাসুদ মেম্বার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, মাসুদ মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো স্থানীয়রা। যেকোন বিষয়ে আজমেরী ওসমান ও নাসিরের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষকে নাজেহালে অভ্যস্ত ছিলো তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাংসদ শামীম ওসমান,তার ছেলে অয়ন ওসমান এবং ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর অস্ত্র হাতে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এ মাসুদ। সে সময় আজমেরী ওসমানের কাছ থেকে নেয়া অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর বৃষ্টির মত গুলিবর্ষন করা হয়েছিলো। ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার সাথে শামীম ওসমানসহ সঙ্গীয় অনেকে পালিয়ে গেলেও অনেকে রয়েছে আত্মগোপনে। সেই সময় হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া মাসুদ মেম্বারও আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা জানান,গোপনে নাকি মাসুদ মেম্বার এলাকাতে প্রবেশ করে আজমেরী ওসমান ও নাসিরের নাম ব্যবহার করে আবারও সাধারন মানুষকে ভীতি দেখাচ্ছেন এবং জেলা পরিষদ এলাকার সাধারন ঝুট ব্যবসায়ীদেরকে কাছ থেকে টাকা চাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনেক ক্ষুদ্র ঝুট ব্যবসায়ী জানান।
স্থানীয়দের দাবী, আজমেরী ওসমান ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড নাসিরের একান্ত সহযোগি মাসুদ ওরফে মাসুদ মেম্বারকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলে আজমেরী ওসমানের অস্ত্রভান্ডারের সন্ধানও পাওয়া যাবে। তাই মাসুদ মেম্বারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।