জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী গোপালনগরে একেবি ব্রীক ফিল্ডের ভিতর সন্ত্রাসী কাশেম বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে ব্যবসায়ী মোঃ হাসান আলী।গুরুতর আহতবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।সেখানে অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।সেখান থেকে মির্ডফোড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এ ব্যাপারে আহত মোঃ হাসান আলীর স্ত্রী সুমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন,আমি মোসাঃ সুমা বেগম পিতা–আব্দুল সালাম, সাং–জালকুড়ি কড়ইতলা, থানা–সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা–নারায়ণগঞ্জ বিবাদী ১। আবুল কাশেম, পিতা–মৃতঃ তাইজদ্দিন, তানভীর পিতা–আবুল কাশেম, মোঃ কবির পিতা–নেওয়াজ আলী, রাজিব ( কাশেমের মেয়ে জামাতা) পিতা–অজ্ঞাত, সর্ব সাং গোপালনগর, চর বক্তাবলী, থানা–ফতুল্লা, জেলা–নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমার স্বামী হাছান আলী বিগত ইং ০৯/০৫/২০০৮ তারিখে উল্লেখিত বিবাদীদের মালিকানাধীন চর– বক্তাবলী মৌজার ৭৯ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ করিবার জন্য জমির মূল্য বাবদ ৮,৫০,০০০/- (আট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার্য্য করিয়া বায়না বাবদ ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিবাদীগণ বিভিন্ন টাল বাহানা প্রদর্শন করিয়া জমি আমার স্বামীর বরাবরে রেজিস্ট্রি করিয়া না দিয়া সময় ক্ষেপন শুরু করে। এক পর্যায়ে বিবাদীদের প্রতারনার বিষয়টি প্রতীয়মান হইলে আমার স্বামী বিবাদীদের নিকট তাহার প্রদত্ত বায়নার টাকা ফেরৎ চায়। এতে বিবাদীগণ আমার স্বামীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান শুরু করে। এরই জের ধরিয়া অদ্য ইং ০১/০৯/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় গোপালনগরস্থ একেবি নিউ ইট খোলার মধ্যে আমার স্বামীর সহিত উল্লেখিত বিবাদীদের দেখা হয়। এসময় আমার স্বামী বিবাদীদের নিকট জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমার স্বামীর উপর চড়াও হইয়া আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। এসময় তর্কে বিতর্কে ১নং বিবাদীর নির্দেশে অপরাপর বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন বিবাদী আমার স্বামীকে এলো পাথারি কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত না হইয়া বিবাদীগণ আমায় স্বামীর প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে ইট খোলার ভিতরে থাকা কাঠের ডাসা, বাসের ভাসা, রঙ, লোহার পাইপ, ধারালো ছুরি ও সুইচ গিয়ার ইত্যাদি নিয়া আমার স্বামীকে চারদিক হইতে ঘেরাও করিয়া ফেলে। এসময় ১ ও ২নং বিবাদী তাহাদের হাতের লোহার রড, ও লোহার পাইপদ্বারা এলো পাথারি বাইড়াইয়া আমার স্বামীর ভান হাতে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখমের সৃষ্টি করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত না হইয়া ৩ ও ৪নং বিবাদী তাহাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়া আমার স্বামীর পিঠে ও কোমড়ে আঘাত করিলে আমার স্বামীর পিঠে ও কোমড়ের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে, এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী সুযোগ পাইয়া তাহার হাতে থাকা শক্ত ধাতব বস্তু মুঠি করিয়া আমার স্বামীর মাথায় ও মুখে সজোরে আঘাত করিলে আমার স্বামীর নাকে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা ফাটা রক্তাক্ত জখমের সৃষ্টি করে। এসময় আমার স্বামী তাহার প্রাণ বাচাঁনোর জন্য ডাক চিৎকার করিলে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসার পূর্বে বিবাদীগণ আমার স্বামীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক যদি আমার স্বামী পুনরায় জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার কথা বলে কিংবা ঘটনার ব্যাপারে আইনী সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করে তাহা হইলে বিবাদীগণ যেকোন সময় যেকোন উপায়ে আমার প্রাণ নাশ করিয়া জমি ভোগ দখলের সাধ চিরতরে মিটয়াইয়া দিবে অন্যথায় যেকোন উপায়ে আমার স্বামী ও সন্তানদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া বিবাদীগণ ঘটনা স্থল হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করিয়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সুমা বেগম বলেন,আমার স্বামী বর্তমানে নারায়নগঞ্জে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী কাশেমের ছোট ভাই আয়নাল মুঠোফোনে বলেন,মোবাইলে সব কথা বলা যায়না।আপনি আসেন বসে কথা বলবো।
উল্লেখিত বিষয়ের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।