স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপর নেতাকর্মীদের হুশিয়ারী দিয়ে নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কাউছার আশা বলেন, কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।শেখ হাসিনার অস্ত্র ছিলো মামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা এখন মহানগর বিএনপিতে যারা আছেন তারাও একই রাস্তায় হাঁটছে।সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বাঁচাতে নিজ দল থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সবার নামে ঢালাও করে মামলা দিচ্ছে।আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং চার্জসিট থেকে নাম কাটতে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন। এর জন্য আমাদের সন্তানরা রক্ত জড়ায় নাই।এখনো নিজের লজ্জাবোধ থেকে ভালো হয়ে যান। ইনশাআল্লাহ যদি ভালোভাবে চলেন আজকে এখানে যারা আছি সবাই আপনাদের সাথে থাকবো আর যদি এভাবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য চালাতে থাকেন তাহলে কে কি করবে জানি না হায়াতের মালিক আল্লাহ কিন্তু আমি আবুল কাউছার আশা প্রতিটি জায়গায় আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।
৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলায় নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কাউছার আশাকে ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ এলাকার নূর হোসেন নামের এক বিএনপি কর্মী সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছিলেন মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে সুজন নামের একজন কথিত যুবদল নেতা মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে ৩ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। তার দেওয়ার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠে। টাকা না দেওয়াতে নূর হোসেনকে গত কয়েকদিন ধরে কয়েক দফা মারধর করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল থেকে আবুল কাউছার আশা বলেন , বাংলাদেশে ছাত্র জনতার যে বিপ্লব হয়েছে।ওই বিপ্লবের সাথে সাথে এক দল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা মাঠে নেমে পড়েছে।তার স্বার্থসিদ্ধ হাসিলের চেষ্টা করছে।আপনেরা জানেন ছাত্রদের রক্তের বিনিমিয়ে এই স্বাধীনতা।আমি আমার ভাই এবায়দুলকে হারিয়েছি সেই সাথে স্কুল কলেজ পড়ুয়া অনেক ছাত্র যারা আমাদের সন্ত্রান, ছোট ভাইতুল্য তাদের জীবনের বিনিমিয়ে এই আওয়ামী লীগ সরকার হটিয়েছে। এই স্বাধীনতা নতুন বোতলে পুরান মদ ঢালার জন্য হয়নি।আমরা চেয়েছি বৈষম্য মুক্ত একটা সমাজ। যেই সমাজে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করবে। ছাত্ররা নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করবে,চাকুরীজীবীরা নির্বিঘ্নে চাকুরী করবে।প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে জনগনের সেবার জন্য শপথ নিয়েছে সে মোতাবেক কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন,গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেখেছেন মানুষের কিভাবে ভোটাধিকার, কথা বলার বাক অধিকার লন্ঠন করা হয়েছে।ঠিক সেভাবে ৫ আগষ্ট বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তারা দুর্নীতি, লুটপাট করা শুরু করে দিয়েছে। আপনাদের হুশিয়ারী দিয়ে বলতে চাই আপনারা দুই চারজন পাঁচ জন বিএনপি নেতা ছাড়াও এই দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে যারা জীবন দেবার জন্য প্রস্তুত।আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো ৫ তারিখের পর আমরা থানা সহ উপজেলা ও সরকারি দপ্তর রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কাজ করেছি কিন্তু কারা এই শহরের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য লুটপাট ও হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হোক।
টিপুর উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আশ বলেন,গতকাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সেই সাথে টিপু সাহেবকে বলবো ভাষা সুন্দর করুন।তথ্য দিতে আজেবাজে কথা বলবেন না।সবাই জানে সুজন এবং রাজু এর আগে গরু লুট করেছে।তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে।সেটার ভয়েস রেকর্ড সহ আছে প্রশাসনের কাছেও আছে।আপনেরা উল্টো তাদেরকে মদদ দিচ্ছেন আবার বলেন জাকির খান নাকি জেলখানা থেকে চাঁদা চাচ্ছে আর যারা বাহিরে আছে
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনেরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবেন না।এই দেশের ছাত্র জনতা স্বৈরাচারী সরকার হটিয়ে দিয়েছে আপনাদের মত টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও মামলাবাজদের জন্য না।আপনেরা জানেন বিগত সময় অনেকগুলো হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমরা যারা বিভিন্ন সময় জেল জুলুম ভোগ করেছি, অনেক অনেক মামলার আসামী হয়েছি।আমরা বাবা-ছেলে এক সাথে জেল খেটেছি।সৌরভ রাজিবও বাবা ছেলেরা এক সাথে জেল খেটেছে।ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তার নামে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দিয়েছেন আপনেরা আপনেরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মোক্তারের নামে হত্যা মামলা দিয়েছেন।যার সাথে তাল মিল হয় না তাদের নামে আপনেরা মামলা দেন।এটা কি রাজনীতি। রাজনীতি করেন কর্মীবান্ধব রাজনীতি করেন।আজকে পদ পদবী না থাকলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী পিছনে থাকবে ইনশাআল্লাহ। আর আপনাদের কমিটি চলে গেলে রিকশায় উঠার লোক পাবেন না।আপনাদের সম্মান করে বলছি এক সাথে অনেক আন্দোলন করেছি।এক সাথে অনেক মামলার আসামী হয়েছি কারাবরণ করেছি।সত্য যাচাই না করে কালকে এই বক্তব্য দিয়েছেন কেউ বলেন বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবেন, কেউ বলেন শহরে থাকতে দিবেন না। আপনাদের বলতে চাই অন্য কোন দলের হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতাম। যেহেতু এক দল করি, আমরা সবাই সাফারার। আপনাদের বক্তব্য সংযত করুন, সত্য জানার চেষ্টা করুন।