ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে গত সাড়ে ১৫ বছর তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। তারা (ওসমান পরিবার) বলেছিল, কোনো কিছুর দরকার হবে না, শুধু নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট। নেত্রী নির্দেশ দিলে এটা-ওটা করে ফেলব। আজ বলতে চাই, আপনার নেত্রী এমন অপকর্ম করেছেন সেই নির্দেশটুকু দেওয়ার সময় পেলেন না।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জায়ামাতে ইসলামীর কর্মীসম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আপনারা এমন নেত্রীর পেছনে ঘুরেছেন যারা ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করে জানিয়ে দিল শুধু দল নয়, ওই দেশের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। আমরা ধিক্কার জানাই, যারা প্রাচীন দল বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এ দেশের মানুষকে নিয়ে যে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন, এর ফলে শুধু গণহত্যা হয়নি, আপনারা এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না।
দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব যেহেতু নেই, আপনারা নৈতিকভাবে আর রাজনীতি করতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত তারা পহেলা আগস্ট বলেনি, দোসরা আগস্ট বলেনি, তারা বলেছিল, ৩২ জুলাই ৩৩ জুলাই। এ আন্দোলন যখন দমন করা যাচ্ছিল না তখন ট্রাম্প কার্ড হিসেবে তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল। শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৫ বছর আমাদের কোনো উপকার করতে পারেননি।
তবে ১ আগস্ট আমাদের আপনি উপকার করে দিয়ে গেছেন। মানুষ বুঝতে পারল, জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আপনি জামায়াত ও শিবিরকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে গেলেন। আপনি আদর্শিক দিক থেকে পরাজিত হয়েছেন, নৈতিকভাবেও পরাজিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, একটি সরকারে জামায়াতের তিনজন মন্ত্রী মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন। সেই সময়কার তথ্য এখনও টিআইবির কাছে আছে, সংসদে আছে, সাংবাদিকসহ সবার কাছে আছে।
তারা হলেন- জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। তারা বলেছিলেন, ‘আমরা দুই টাকার দুর্নীতি করেছি প্রমাণ করতে পারলে শুধু এমপি বা মন্ত্রী পদ থেকে নয়, জামায়াতের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করব। আজ পর্যন্ত তারা এগুলো প্রমাণ করতে পারেনি।’