ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জিওধরা চৌরাস্তা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহাবুবকে রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। নৃশংস সেই দৃশ্য বুধবার (১২সেপ্টেম্বর ) রাত থেকে অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাহাবুবকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলাকারীরা মারধর শুরু করলে তিনি বাড়ির দিকে ফিরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাঁচ জনের মিলে নৃশংস ভাবে পায়ের দিকে কোপাতে শুরু করেন। আশপাশ মিলে পাঁচ জন হামলাকারীকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়। মাত্র ৩ মিনিট এর মধ্যে তাকে কুপিয়ে হামলাকারীরা ধীরে ধীরে পূর্ব দিক দিয়ে বাড়ি চলে যান। সড়কে অচেতন হয়ে পড়ে থাকেন মাহাবুব।
আশপাশে স্থানীয় কয়েকজন মানুষকে দেখা গেলেও মাহাবুবকে সাহায্য করতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
গত বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চৌরাস্তা এলাকায় মাহাবুব এর ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাহাবুব বন্দর উপজেলার কল্যান্দি নয়ানগর এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়ার ছেলে।
সিসি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া যায়,হামলাকারীরা জিওধরা এলাকার আলতাফ মিয়ার ছেলে, বাদশা প্রধান, দ্বীন ইসলাম প্রধান, আতাউর প্রধান, মানিক প্রধান ও সাদ্দাম প্রধান। তারা সবাই আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সরকার পতনের পরপরই ভোল্ট পাল্টিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিবের মিটিং মিছিলে এবং ছবি সম্মিলিত করে পোস্টারে ছেয়ে গেছে বন্দর এলাকায়।
স্থানীয় জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত ৬ আগস্ট রাতে দ্বীন ইসলাম এর উপর হামলা চালায় মাহাবুব গং। এঘটনায় বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন আহত দ্বীন ইসলাম। এই ঘটনার জের ধরেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাহাবুবকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চয় রেখে চলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত মাহবুবকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।