ষ্টাফ রিপোর্টার:
নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি হায় কোম্পানি নারায়ণগঞ্জের দুটি শাখা হতে সাড়ে চার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শাখা দুটি হচ্ছে নিতাইগঞ্জ ও উকিলপাড়া।
গ্রাহকদেরকে জমানো টাকা থেকে ১৫ গুণ বেশি টাকা লোন দেওয়ার নাম করে প্রায় ৭ মাসে সাড়ে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কোম্পানির এমডি মোঃ মোবারক হোসেন।
আর এতে সহযোগিতা করেছে শাখা দুটির ম্যানেজার অরবিন্দ হালদার ও জনসন সরকার নামে দুই ব্যক্তি সহ তাদের সহযোগীরা।
উক্ত দুই ব্যক্তি এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, আমরা টাকা জমা দিলে সে টাকা কোম্পানির এমডি মোঃ মোবারক হোসেন তার একাউন্টে নিয়ে যান। আমাদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আমরা উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের নিয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
একটি সূত্র হতে জানা যায়, শহরের নিতাইগঞ্জ ও উকিলপাড়ায় দুটি শাখা খুলে সাত মাসে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা উত্তোলন করেন অরবিন্দ হালদার ও জনসন সরকার।
এদের মধ্য থেকে ৮০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন লোককে লোন দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বর্তমান ৫১/১/এ ওয়াসা রোড উত্তর মানিকনগর বাড়ি ওয়ারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আব্দুল আজিজ ভূইয়া ও ছালেহা বেগমের পুত্র মোবারক হোসেন নারায়ণগঞ্জ শহরের দুইটি শাখা খোলেন প্রায় সাত মাস আগে।
গত সাত মাসে নিতাইগঞ্জ শাখা ১ কোটি ৭ লাখ টাকা কালেকশন করে মাত্র বিপরীতে লোন দেয়া হয় ১৯ লাখ টাকা। উকিলপাড়া শাখায় কালেকশন করা হয় প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, বিপরীতে লোন দেয়া হয় ৪০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানের এমডি মোবারক হোসেন দেশের বিভিন্ন জেলায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের শাখা খুলে প্রতারনা চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে।
এ দুটি শাখা খুলে বিভিন্ন নিরীহ লোকদেরকে মোটা অংকের টাকা লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
গ্রাহকরা লোন দেওয়ার জন্য নিতাইগঞ্জ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার অরবিন্দ হালদার ও জনসন সরকারকে চাপ দিলে তারা নিরুপায় বলে গ্রাহকদের জানিয়ে দেন এবং তাদের এই বলে আশ্বাস দেন আমরা উক্ত এমডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে নিতাইগঞ্জ শাখার ম্যানেজার অরবিন্দ হালদার বলেন, প্রায় সাত মাস আগে নারায়ণগঞ্জে দুটি শাখা খোলা হয় নিউ স্টান্ডার্ড ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স কো-অপারেটেড সোসাইটি লিমিটেডের। আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আদায় করে জমা দেই। আমাদের এমডি সে টাকা ঢাকায় নিয়ে যেতেন। আমরা বহুবার গ্রাহকদের লোন দিতে বললে তিনি গড়িমসি শুরু করেন।
এ ব্যাপারে আমি ও জনসন সরকার এমডির বিরনুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন আমাদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।