প্রভাব বিস্তার নিয়ে তিন বাহিনীর দ্বন্দ্বে খুন হন হাফেজ আনিছ
জাগো নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাবদী এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হন হাফেজ আনিছ। খুনের পরিকল্পনাকারী স্থানীয় চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা খান মাসুদ ও কাজী জহিরের সঙ্গে আগে থেকেই তাঁর দ্বন্দ্ব ছিল। পরবর্তী ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। আর এর জেরেই প্রাণ দিতে হয় হাফেজ আনিছকে। এমনি এক চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ৭ বছর পর মুখ খুলেছে নিহতের পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, যুবলীগ নেতা খান মাসুদ ও কাজী জহিরের সাথে বিবাদের কারণে সব সময় তারা আতঙ্কে থাকত। সর্বশেষ কাজী জহিরের সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি পারভেজ ও সজলের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময় রফাদফা হলে হাফেজ আনিছকে ব্যবহার করে খান মাসুদকে পিস্তল দিয়ে ধরিয়ে দেন। খান মাসুদ জেল থেকে জামিনে আসলে পিস্তল সহ আটকের খবর প্রকাশ পেলে কাজী জহিরের সাথে সংঘর্ষ বেধে যাবে এমন আতঙ্কে দিন থাকত কাজী জহির। সেই মুহুর্তে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে দেলোয়ার প্রধানের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে হাফেজ আনিছের। ওই সময়ে হাফেজ আনিছ তাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে খুন করা হয় হাফেজ আনিছকে।
এদিকে হাফেজ আনিছ খুন হওয়ার সময় সাবদী বাজারে পাহাড়ায় ছিল জামান মেম্বার, মোসলেউদ্দিন, মনির মেম্বার, খোকন, দেলোয়ার প্রধানের পিএস আসাদ মাস্টার। খান মাসুদের নির্দেশে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল আকিব হাসান রাজু, দেলোয়ার প্রধানের লোক হিসেবে তারই ভাতিজা আরমান, জাতীয় পার্ট্রি নেতা শাহ আলম, রুবেল এবং কাজী জহিরের পক্ষে ছিল পারভেজ, স্বজল, শামীম সহ অন্যান্যা আসামিরা।
দীর্ঘ ৭ বছর পর আনিছ হত্যার নিয়ে পরিবার মূখ খুললে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ্যে আসলে নড়েচড়ে বসেছে চেয়ারম্যান সহ জড়িত মেম্বার ও যুবলীগ নেতারা। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবে বলে জানান নিহতের পরিবার।