ষ্টাফ রিপোর্টার:
রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের জার্সি বদল একসময় তারা ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজীম আহমেদ খান রিয়াজের আস্থাভাজন। সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং তার ছেলে পাপ্পা গাজীর রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও এখন তারা জার্সি বদলে বিএনপির কর্মী বনে গেছেন। এই লেবাস পরিবর্তনকারী কর্মীরা হলেন, তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ কাউসারের খালাতো ভাই আহমেদ হিমেল ইমাদ, রিফাত ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়া।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর কথা শোনামাত্রই তারা ভোল পাল্টে ফেলেন। এখন তারা সবাই বিএনপি কর্মী।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজীম আহমেদ খান রিয়াজের ছত্রছায়ায় রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করেন। তাদের অত্যাচারে তারাব, কাঞ্চন, মুড়াপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকরা পর্যন্ত জিম্মি ছিলো। রিয়াজের শেল্টারে ঝুট সেক্টর, মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, দখল, চাঁদাবাজিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা করেনি। এসব অবৈধ কারবারের কল্যাণে অঢেল ধন সম্পদেরও মালিক বনে গেছেন তারা।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের জার্সি বদলের খবর চাউর হতে থাকলে বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ১৫ বছর যাবত আমরা হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজীম আহমেদ খান রিয়াজের অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে পারিনি। মিছিল-মিটিং করতে গেলে তারা হামলা করেছে। মারধর করে আমাদের রক্তাক্ত জখম করেছে। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে থানায় আমাদের নামে গায়েবী মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় আমরা জেলও খেটেছি। আর এখন রিয়াজের পালিত সন্ত্রাসী হিমেল, রিফাত ও তানভীরের মতো নেতারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বিএনপির লেবাস ধারণ করেছে। আমরা এ ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের সুদৃষ্টি কামনা করছি।