ষ্টাফ রিপোর্টার:
চাষাড়া টু পঞ্চবটী রুটে চলাচলকারী ইজিবাইক ও মিশুক চালকদের ব্যবহার এতটাই খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে তারা যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরন করতে কোন দ্বিধাবোধ করছেনা। চাষাড়া থেকে পঞ্চবটী রুটে বর্তমানে ইজিবাইক ও মিশুক চালকরা এতটাই বেপরোয়া হয়েছেন যে মাত্র ২শ মিটার ভাঙ্গা রাস্তার জন্য ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হারে বেশী করে আদায় করছেন এ রুটে যাতায়াতকারী প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে। কোন যাত্রী বর্ধিত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে চালকরা বলছেন “গেলে যান না গেলে নামেন”।
এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বলেন,চাষাড়া থেকে পঞ্চবটী রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কর্মের তাগিদে অনেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০বারের অধিক যাতায়াত করেন। পঞ্চবটী বনবিভাগ থেকে দ্বিতল ব্রীজের মাথা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাটির সংস্কারের অভাবে প্রতিদিনই এখানে ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি বিসিকের একটি লিংকরোড তৈরী হওয়ার ফলে উক্ত রুটে গাড়ী উঠানামার কারনে একটু যানজটের সৃষ্টি হয়। ৩০০ মিটার খানাখন্দ আর একটু যানজটের কারনে এ রুটে চলাচলকারী প্রতিটি ইজিবাইক ও শিশুক চালকরা তাদের উচ্ছেমত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। চাষাড়া থেকে পঞ্চবটীর ভাড়া ১০ টাকা হলেও এখন সেখানে ১৫ টাকা থেকে ২০টাকা হারে আদায় করছে চালকরা। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সাথে চালকদের তর্কাতর্কি এমনকি হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটছে। বর্ধিত ভাড়া নিয়ে এক চালকের সাথে কোন যাত্রীর তর্ক হলে প্রায় ১০/১৫ চালক মিলে উক্ত যাত্রীকে শারীরিকভাবেও নির্যাতনের ঘটনা ঘটাচ্ছে চালকরা।
নিয়মিত যাতায়াতকারী ধর্মগঞ্জের সেলিম জানান,আমি চাষাড়ায় একটি দোকানে চাকুরী করি। সকাল-দুপুর এবং রাত্রে মোট ৬বার যাতায়াত করতে হয় আমাকে। প্রতিবার ১০ টাকা হাওে বেশী দিলে আমাকে প্রতিদিন ৬০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। আমি এ বর্ধিত টাকাগুলো কোথায় পাবো। তিনি আরও বলেন,প্রায় ২ মাস আগেও একজন চালককে পুলিশ ও চাদাঁবাজদেরকে গাড়ি প্রতি ১শত টাকা হাওে দিতে হতো কিন্তু এখন সেটা দিতে হয়না। তাহলে চালকরা কেন দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে। এ কারনে জানতে চাইলে চালকরা বলেন,“গেলে যান না গেলে নামেন” আবার অনেক সময় তর্কেও জড়িয়ে নানাভাবে নাজেহাল করে থাকে। তিনি আরও বলেন,এ রাস্তাতো আমরা ভাঙ্গিনি তাহলে আমাদেরকে কেন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে ? এছাড়াও প্রচন্ড রৌদ্র,বৃষ্টি কিংবা তাপদাহ হলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত হারে ভাড়া নিচ্ছে এ চালকরা। মোট কথা আমরা এখন ইজিবাইক ও মিশুক চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাদেরকে কিছু বলা যায়না। কারন একজনকে কিছু বললে সকল চালকরা মিলে যাত্রীদেরকে নাজেহাল করে থাকে। আমরা এ থেকে মুক্তি পাবো কবে। সেলিমের মত সকল যাত্রীদেরই একই অবস্থা এ রুটে।
ইজিবাইক ও মিশুক চালকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায় এরুটে যাতায়াতকারী সাধারন যাত্রীরা।