ষ্টাফ রির্পোটার:
ফতুল্লা মডেল থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাবাদ হোসেন এখন বিএনপির ঘরে।
কাবাদ হোসেন গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের ঘরে থাকলেও ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়। তারপর হতে ভুল পাল্টে কাবাদ হোসেন এখন বিএনপির নেতা বনে যায়।
বক্তাবলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোশারফ হোসেনের পদতলে আশ্রয় নেয়।
জানা যায়, কাবাদ হোসেনের ছোট ভাই টিটু বাংলাদেশ থাকতে যুবলীগ করতো। এখন আমেরিকা অবস্থান করে টিটু যুবলীগের দায়িত্ব পালন করছে। টিটু আমেরিকায় আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান কে নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছে।
কাবাদের গ্রামের বাড়ি পূর্ব চরগড়কুলের বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সারোয়ার হোসেন কবরী ২ বার দাওয়াত খেতে আসে।
কাবাদ বিগত আওয়ামী লীগের আমলে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চেয়ারম্যানের নৌকার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন সাথেই ছিল।
এছাড়া কাবাদ বিভিন্ন লোক বিদেশ নেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করে।
যার উজ্জল প্রমান বক্তাবলী ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার আফজাল হোসেন।
আওয়ামী লীগের কাবাদ এখন বিএনপি নেতা বনে যাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কাবাদ হোসেন মুঠোফোনে (০১৭১৫০৩৭৪@@) জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কখনও আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না। মেম্বার পদে নির্বাচনের জন্য সেখানে মনোনয়নের জন্য গেলে সেখানে তারা জোড়পুর্বক জড়িয়ে ধওে ছবিটি তোলা হয়েছে। আমি বিগত সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি এবং বর্তমানে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে রয়েছি। আমি বেশীরভাগ সময়ে ঢাকার পার্টি অফিসে সময় ব্যায় করি। বিএনপি করার অপরাধে আমাকে বিভিন্ন সময়ে ফতুল্লা থানা মোটা অংকের টাকাও দিতে হয়েছিলো। বিদেশে লোক পাঠানো এবং প্রতারনা বিষয়ে তিনি বলেন,আমি বৈধভাবেই বিভিন্ন লোকজন বিদেশ পাঠাই কোন অবৈধ উপায়ে নয়। আমার নিজস্ব একটি লাইসেন্সও রয়েছে। উপরোক্ত অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা।