মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ।
বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামান বাবুলের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ভূক্তভোগি এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করেছে। বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে ভুক্তভোগি একটি মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস সত্তাররের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ওই গ্রামের ভূক্তভোগি কৃষক কামাল হাওলাদার, হারুন শরীফ, নয়া মিয়া হাওলাদার, তানজিল শরিফ, খলিল হাওলাদার ও জব্বার গাজী প্রমুখ। মানববন্ধনে ওই গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার পাতাকাটা মৌজায় ২১৮নং খতিয়ান ২০০, ২২০, ২২১, ২২২, ২২৪, ও ২২৫নং দাগে মোট ৩.৬৯ একর জমি রয়েছে। উল্লেখিত ওই জমি নিয়ে বরগুনার জজ কোর্টে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। আদালত থেকে উক্ত জমিতে স্থিতি অবস্থার থাকার আদেশ থাকার পরেও স্থানীয় ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামান বাবুল গংরা উক্ত জমির মধ্যে থেকে ২২২, ২২৪ ও ২২৫ নং দাগের জমিতে থাকা পাকা ধান গত ২৩ ডিসেম্বর দিনে ও রাতে মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে পাশা হাওলাদার, মিলন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, নাসির হাওলাদারসহ অপরিচিত আরো ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে এলাকায় ভূক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গায়ের জোরে কেটে নিয়ে যায়। উল্টো সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধাসহ আমাদের উপর দায় চাপিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়াছেন। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাকে দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য একটি মহল ওই সংবাদ প্রকাশ করাইয়াছেন। মূল ঘটনা হচ্ছে যারা তুহিন মৃধার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাইয়াছেন তারা ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তুহিন মৃধা ও উপজেলার বিএনপির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এহেন ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত রয়েছেন। ভূক্তভোগী বক্তারা আরো বলেন, ওই বিরোধীয় জমি আমরা সাব-কবলা ও পৈত্রিক সূত্রে শতবছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। ভূমিদস্যু আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত মোঃ মনিরুজ্জামান বাবুল গংদের অত্যাচার ও আদালতে মিথ্যা মামলা চলমান থাকায় গত এক বছর পর্যন্ত ওই বিরোধীয় জমি আমরা চাষাবাদ পর্যন্ত করতে পারিনি।
ভূক্তভোগীরা ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান বাবুল গংদের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উচ্চ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।