বিবিসি বাংলা
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে- কোটা আন্দোলনকারীদের প্রধানমন্ত্রী’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ কোটার বিষয়টি। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে পদক্ষেপ আশা করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু তাদের সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দাঁড়ানোর অধিকার নেই।
কোটা নিয়ে আদালতের রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আদালতে যাক, বলুক। তা না, তারা রাজপথে সমাধান করবে। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমার তো দাঁড়ানোর অধিকার নেই, সংবিধানও বলে না। সংসদও বলে না, কার্যপ্রণালিবিধিও বলে না।’
‘যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসবে, ততক্ষণ আমাদের কিছু করার থাকে না। এ বাস্তবতা তাদের মানতে হবে। না মানলে কিছুই করার নেই।’
তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে সেখানে সরকার বাধা দেবে না বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণ করে যাচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান চলবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ”আমি কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতিবাজেরা ধরা পড়ছে। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সরকারের ইমেজ (ভাবমূর্তি) নষ্ট হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।”
বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছেন, খুঁজে বের করা গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যাঁরা, তাঁদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ, ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে, উভয়ই অপরাধী। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে, দুজনেই অপরাধী।’
বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। ’
‘বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা না। হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ট্রাম্পের ওপর হামলা প্রসঙ্গে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘বেঁচে গেলেন ট্রাম্প আরো বিষাক্ত মার্কিন রাজনীতি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি চালানোর ঘটনা নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সহিংসতায় প্রায় প্রতিদিনই নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়। অভিযোগ রয়েছে দেশটিতে বন্দুক সহিংসতা জিইয়ে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে রিপাবলিকান পার্টির।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারের সময় এই দলেরই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
এই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর দোষ চাপিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতারা। তবে বাইডেন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় দেশটির রাজনীতি আরও বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় যা তার ডান কান ছুয়ে যায়।
ট্রাম্পের উপর হামলার এই ঘটনাকে আপাতদৃষ্টিতে নিরাপত্তার গাফিলতি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন অনেকে।
পরে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন বন্দুকধারীতে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছে। সিক্রেট সার্ভিস বলছে এ ঘটনাকে হত্যা চেষ্টা বিবেচনা করে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
তিস্তা প্রকল্প প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘পানি পেতে হলে ভারতের তা বাস্তবায়ন করা উচিত’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক, সেইসাথে নিশ্চিত করতে হবে যে বাংলাদেশ উজান থেকে পানি পাবে।
চীন সফর নিয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তিস্তা প্রকল্প একটি দীর্ঘস্থায়ী বিষয়। চীন একটি প্রস্তাব দিয়েছে এবং একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে। ভারতও একটি প্রস্তাব দিয়েছে এবং সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করবে, আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটা আমাদের জন্য যৌক্তিক হবে”।
তবে তিনি এই প্রকল্পের জন্য ভারতকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছেন কারণ ভারত তিস্তার পানি আটকে রেখেছে।
তিনি বলেন, “আমরা যদি [তিস্তার পানির অংশ] পেতে চাই, তবে ভারতের উচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা। যদি তারা প্রকল্পটি সম্পন্ন করে, তবে তারা প্রকল্পের জন্য যা যা দরকার সবই দেবে। এটাই কূটনীতি, এতে লুকোচুরির কিছু নেই, এটি সহজ এবং পরিষ্কার।”
চীনে সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চারটি উপায়ে সহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন: অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ।
এজন্য তারা বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলারের সমান অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
চীনও বিনামূল্যে নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণে সম্মত হয়েছে, তিনি বলেন।
যারা এই সফরের ফলাফলের সমালোচনা করছেন তাদের তীব্র নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এগুলো কি কিছুই নয়?”
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে কোটা সংস্কারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেয়ার পর আলটিমেটাম দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে পুলিশকে আরো ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা ঠেকাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। বিভিন্ন হলের গেট ভেঙে বঙ্গভবন অভিমুখে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের গণ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়, তবে সরকারি পরিপত্রে শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।
সরকারি চাকরিতে কোটার যে যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা তা দেয়া হয়নি।
তাই শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারি চাকরিতে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে পর্যায় সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ কোটা সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিতে সংস্কার করতে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘আবার রাজনৈতিক উত্তাপ: ফের কর্মসূচিমুখী বিএনপি, আন্দোলন নিয়ে কৌশলী আ’লীগ’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছরের ২৮শে অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় যে মহাসমাবেশ ডেকেছিল, তা লক্ষ্যে না এগিয়ে নির্বাচন বয়কটের মধ্য দিয়ে বয়ে আনে প্রচন্ড হতাশা।
গত ছয় মাস ধরে সে হতাশার বৃত্ত থেকে দলের নেতাকর্মীদের বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। দল পুনর্গঠন চলছে জোরেশোরে।
নতুন নেতৃত্ব দিয়ে সাজানো হচ্ছে সংগঠনের বিভিন্ন স্তর। এর পাশাপাশি রাজপথে আবারো প্রভাব ফেলতে চায় সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত এই দলটি।
চাঙ্গা করতে চায় যুগপৎ আন্দোলনও। জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ পাঁচ ইস্যুতে শিগগিরই আসছে একগুচ্ছ কর্মসূচি।
এর অংশ হিসেবে চলতি মাসে ঢাকায় দু’টি সমাবেশসহ সারা দেশে তিন-চারটি কর্মসূচি আসতে পারে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত হলেও কৌশলী ভূমিকা পালন করছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।
শুরুতেই শিক্ষার্থীদের এই অরাজনৈতিক আন্দোলনটি কঠোর অবস্থানে থেকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার চিন্তাভাবনা করলেও বর্তমানে ওই অবস্থান থেকে আপাতত সরে এসেছে দলটি।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার পরিবর্তে আদালতের মাধ্যমে চূড়ান্ত মীমাংসার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব।
তারপরও আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রশ্নফাঁস নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘প্রশ্ন ফাঁসের আসামিরা নির্বাচন করছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে মামলার আসামি, যাদের অনেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তারা এখন জামিনে বেরিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রশ্ন কেলেঙ্কারির আগেও একাধিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব ঘটনায় অন্তত ১৫টি মামলা হয়েছে।
কিন্তু মামলা তদন্তগুলো চলে গেছে হিমঘরে। এমনকি কোন কোন মামলার আসামি জামিনে বের হয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এমনকি এক আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান পর্যন্ত ছিলেন। মামলাগুলোর তদন্ত কবে শেষ হবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
অথচ পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ড এবং সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদন্ড অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।
তবে বিগত কয়েক বছরে অহরহ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা ও গ্রেফতার হলেও পুরোপুরি শাস্তি পাওয়ার নজির নেই বললেই চলে।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তে পুনরায় গোলাগুলি নিয়ে দ্য নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দে টেকনাফে আতঙ্ক ছড়িয়েছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ভারী অস্ত্র ও মর্টার শেল ব্যবহার হচ্ছে।
এসব থেকে গুলিবর্ষণের শব্দে টেকনাফ উপজেলা সদর ও কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোর তুলনায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকালের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ বেশি ছিল।
এতে সীমান্তবর্তী এলাকার বহু মানুষ ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মিয়ানমার থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং এবারের শব্দ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় জোরালো ছিল বলে তারা জানান।
তবে বিজিবি জানিয়েছে, ওই পার থেকে কেউ যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির চলছে।
আসন্ন নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘ঋণের সুদহার আরো বাড়ছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাড়ানো হয়েছিল ঋণের সুদহার। সর্বোচ্চ নয় থেকে বেড়ে ব্যাংক ঋণের সুদহার উঠেছে প্রায় ১৫ শতাংশে।
যদিও এর সুফল ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরজুড়ে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও কমেনি মূল্যস্ফীতি।
উল্টো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বহু গুণ।
এ অবস্থায় ঋণের সুদহার আরো বাড়ানোর পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে সুদহার বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাজারে নিয়ন্ত্রণ করা হবে অর্থের প্রবাহ। এজন্য নীতি সুদহার (রেপো রেট) আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেক্ষেত্রে নীতি সুদহার বাড়তে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। তবে এটি কার্যকর হতে পারে দুই ধাপে। বর্তমানে নীতি সুদহার আট দশমিক ৫০ শতাংশ।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে সুদহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করে সেটিই নীতি সুদহার। এ সুদহার বাড়লে ব্যাংক ঋণের সুদও বাড়ে।