Views: 19
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেলসহ তিনজন বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালত এ ১০ কোটি টাকার মানহানীর মামলা দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ মুহাম্মদ গিঢাসউদ্দির আহমেদের ছেলে জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব গোলাম মুহাম্মদ কায়সারের পক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের সভাপতি মো.তৈয়ম। উক্ত মামলায় শহীদুল্লাহ রাসেলকে প্রধান আসামী করা হয়। মামলার অন্য তিনজন আসামী হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সদস্য সচিব ও সাবেক এনসিসি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মো.শাহেদ আহমেদ এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুকে।
এদিকে মানহানীর মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেলকে আসামী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ। তারা বলেন,মুলত অপরাধীকে আড়াল করতেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা। সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবেই সর্ব মহলে পরিচিত। তার ছেলের পক্ষে কিভাবে আরেকজন নেতা একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মানহানী মামলা করেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। তারা আরো বলেন,৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের দেশ ছেড়ে পলায়নের পর নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি জায়গাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সেক্টর দখলের পাশাপাশি সংঘর্ষেও জড়িয়েছে। তিনি তো জেলা বিএনপির কর্নধার। দলের নেতাকর্মীদের এরুপ অপরাধ সর্ম্পকে কি তিনি অবগত নন। অবশ্যই তিনি অবগত রয়েছেন। তাহলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে নিয়ন্ত্রনে না নিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন মামলা করালেন তার ছেলের সহযোগিকে দিয়ে তা আমরা জানতে চাই। আমরা অনতিবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেলের বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মো.উজ্জল হোসাইন বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এবং আমার সংগঠনের সভাপতি এম.শহীদুল্লাহ রাসেল ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সমাজে ঘটে যাওয়া অসংগতিগুলো লিখুনির মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করা। একটি দূর্নীতিমুক্ত,সন্ত্রাসমুক্ত পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে সাংবাদিকের ভুমিকা অপরিসীম। আর সেটা করতে গিয়ে কতিপয় অপরাধীরা সাংবাদিকের কলমের গতি থামাতে এবং কন্ঠরোধ করতেই মামলাকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তিনি আর বলেন,একজন প্রকৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তার কলমের কালিকে শেষ করা যায়না বরং সেই কলমের কালিটুকু আরো ধারালো গতিতে পরিনত হয়। তিনি অনতিবিলম্বে সাংবাদিক শহীদুল্লাহ রাসেল ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এএস মনিকা আক্তার বলেন,সাংবাদিক হচ্ছে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। আর তাদের কাজ হচ্ছে যাবতীয় অসংগতিপুর্ন কাজগুলোকে লিখুনীর মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করা। সমাজে ঘটে যাওয়া অসংগতিগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করাটা কি একজন সাংবাদিকের অপরাধ কিনা তা জানতে চাই মিথ্যা মামলার বাদীর কাছে। তিনি আরও বলেন,প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করতেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মানহানীর মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা অনতিবিষম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেল ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মানহানী মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।