ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লামাপাড়া পূর্ব শক্রতার জের ধরে হামলা বাড়িঘর, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার মোঃ ফারুক বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর ও ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফারুক জানায়,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, দখল, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে,সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক দল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট ও দখল করে। পরে আমি ফতুল্লা মডেল থানায় আনোয়ার হোসেন অনু, আনিছুর রহমান আনিছ, রুবেল,পলাশ ওরফে কানা পলাশ,ফিরোজা বেগম,জসিম,মোহাম্মদ আলী,মোঃ রায়হান,ঝরনা, মোঃ রহমতউল্লাহ,রিয়াজ বাবু,মোঃ মাহবুব,জেসমিন, মিতুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন বিবাদীর সাথে জায়গা নিয়া পূর্বে থেকেই বিরোধ ও দেওয়ানী মামলা মোকদ্দমা দে: ১২৬৯/২০১৬ চলিয়া আসিতেছিলো। এর জের ধরিয়া গত ৭ আগষ্ট ]অত্র মোকদ্দমার উল্লেখিত আসামীগণ পরিকল্পিতৃভারে আমার বাড়ীতে আক্রমন ও হামলা করেন। আসামীগণ প্রায় ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক নিয়ে আমার বাড়ীর গেইট ভাঙ্গিয়া বাড়ীতে প্রবেশ করেন। বাড়ীতে ফারুক ১ টি রুমে নিজে এবং অপর ৬টি রুমে ভাড়াটিয়া পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। উল্লেখিত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাড়ীতে রক্ষিত নির্মান কাজের জন্য রড ২ টন, সিমেন্ট ৯৫ বস্তা, পানির ট্যাংকি ১০০০ লিটারের ৩ টা, ৩ ফুট উচ্চতার ৪ টা জানালা, ৭ ফুট উচ্চতার, ৩টা সরজা, ১টা লোহার গেইট, ২০ কেজির ৬ টা ড্রাম এবং ঘরের মূল্যবান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং ভাংচুর করিয়া বাড়ীতে থাকা ভাড়াটিয়াদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করিয়া তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। আসামীরা,বাড়ীর বৈদ্যুতিক মিটারও ভেঙ্গে ফেলে। রান্না ঘরে থাকা ৩টি গ্যাস সিলিন্ডার চুলা সহ পাইপ এবং বাথরুমের ৩টি প্লাষ্টিকের দরজা এবং পুরো বাড়ীর ওয়ারিং এর লাইন তছনছ করিয়া ফেলিয়া নির্মান শ্রমিকদের মূল্যবান যন্ত্রপাতিও আসামীরা নিয়ে যায়। হামলা, ভাংচুরের এক পর্যায়ে আসামী আনোয়ার হোসেন আনু, আনিসুর রহমান আনিস, কানা পলাশ, জসিম, রুবেল ফারুকে অশ্রব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ঘরে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর শুরু করেন। সকল আসামীগণ, ফারুকের স্ত্রী শায়লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করিয়া প্রান নাশের ভয় দেখাইয়া ঘর হইতে বাহির করিয়া দিয়া ঘরের মূল্যবান জিনিস সহ তথা: সোনার গহনা ১ ভরি ওজনের চেইন ১টা, নেকলেস ৩ ভরি ওজনের ১টা, ১ জোড়া কানের দুল ১২ আনা ওজনের, হাতের রুলি ১ জোড়া ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের অধুটি ২টা ও মূল্যবান দলিলপত্র ও কাগজপত্র জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তাছাড়া উল্লেখিত আসামীরা, বাড়ীর নিমার্নের জন্য রক্ষিত ৩,০০০ ইট নিয়ে যায়। বাড়ি নিমার্নের সামগ্রী মূল্যবান জিনিস পত্র ও আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি করে, যাহার পরিমান আনুমানির ৩০ লক্ষ টাকার সমপরিমান। ইহাতেও আসামীগণ ক্ষান্ত না হইয়া অন্য বাড়ীতে যেখানে ফারুকের পিতা-মাতা থাকে সেখানেও হামলা ভাংচুর করে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন। আসামীরা, ফারুককে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বাদী ফারুক জানায়, আমি ফতুল্লার রামারবাগ মেট্রো গার্মেন্টসের এক জন শ্রমিক আমরা কোন দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও আসামীরা আমাদের সম্পত্তি দখল করতে ব্যক্তিগত আক্রোশে এ হামলা, ভাংচুর ও লুচপাট চালিয়েছে। আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার পর প্রধান আসামী ও তার সহযোগীরা আমি ও আমার পরিবারকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়া খুবই আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যেকোন সময় বিবাদীগণ বড় কোন দুঃঘটনা ঘটাইতে পারে মর্মে জোর আশংকা করিতেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবার।