ষ্টাফ রিপোর্টার:
দেশে আইনের উর্দ্ধে কেউ নন এমন একটা কথার প্রচলন থাকলেও বর্তমানে এর প্রতিফলন ঘটেনা। বর্তমানে সর্ম্পকের উর্দ্ধে কেউ নন এমনটাই প্রচলন চলছে। সারাদেশে আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের জন্য যখন সরকার ঘোষনা দেন ঠিক সেই সময়ে বিগত আওয়ামীলীগের দোসররা বিএনপি নেতাদের ভাই কিংবা নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বিগত ১৭ বছরে অপরাধের রামরাজত্ব চালালেও বর্তমানে তারা রয়েছেন পুর্বের ন্যায় বহাল তবিয়তে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানা এলাকাতে আওয়ামী দোসররা অনেক বিএনপি নেতার স্বজন হওয়ার সুবাদে সাত খুর মাফের মতই দিন কাটাচ্ছে।
এদের মধ্যে মো.রাসেল। যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমানের আপন ছোট ভাই। এই মো.রাসেল ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি আবু মোঃ শরিফুল হক ওরফে বুইট্টা শরীফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড। ভাই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদে মো.রাসেল এখনো ফতুল্লা থানা এলাকা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। মৃত আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগকে আবারো জীবিত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, শূন্য থেকে শতকোটি টাকার মালিক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো.শরিফুল হকের নিয়ন্ত্রনে ছিলো তৎকালীন সময়ে ফতুল্লার হাট-মাঠ-ঘাট-বাজারসহ অনেক কিছু। আর সেই শরিফুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবেই রাসেল ছিলেন অন্যতম। শরিফুলের যাবতীয় অপরাধের ভান্ডারগুলোও নাকি তার নির্দেশেই চলতো। বর্তমানে অন্তবর্তী সরকারের অধীনে দেশ চলমান থাকলেও অঘোষিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা অপরাধের রামরাজত্ব করছেন নিজেদেরকে সরকারদলীয় লোক ভেবে। আবার সেই বিএনপির নেতৃবৃন্দরাই আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কিংবা ইউটিউবে নানা বাজে মন্তব্য করছেন। খোদ রাসেলের ভাই জুয়েল আরমানও ফেসবুকে আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের কথা বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অথচ নিজ ঘরের ভেতরে যে তিনি আওয়ামী দোসরকে নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রেখেছেন সেটা কিন্তু বলছেন না। এ যেন “ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা”র মত অবস্থা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে বলেন, শরীফুলের ক্ষমতায় রাসেল ছিলেন অনেকের কাছে আতংক। ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর রাসেলের ওস্তাদ শরীফুলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা হলেও শুধুমাত্র ভাই জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমানের সুবাদে কোন মামলার আসামী হয়নি রাসেল। অথচ ৫ আগষ্ট পর্যন্ত শরীফুলের সাথে এবং নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো এ রাসেল অথচ শুধুমাত্র রক্তের কারনে ফতুল্লায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার আসামী হয়ে এলাকা ছাড়া হলেও এখনও এলাকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী দোসর রাসেল।
তারা আরও বলেন, এ রাসেল এখনও পর্যন্ত তার গুরু আবু শরীফুল হকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে এবং অন্তবর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও বিতর্কিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের দাবী, আইন যদি সরবার জন্য সমান হয় তাহলে আওয়ামী দোসর রাসেলের ক্ষেত্রে ভিন্ন হবে কেন?
আমরা চাই আত্মীয়তায় নয় আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের প্রতি অনুরোধ অতিদ্রুত ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি আবু মোঃ শরিফুল হক ওরফে বুইট্টা শরীফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড রাসেলকে দ্রুত গ্রেফতার করে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি প্রদান করা হোক।
এ বিষয়ে মো.রাসেল বলেন,ভাই এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ৫ তারিখের পর আমার বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়ে দিলো সে সময় তো ফোন দিলেন না। আমার ২০ বছরের সংসারে আগুন দিলো। আর কি ক্ষতি চান কন।