ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অফিসে হামলা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে ছবি ভাংচুর ও সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু রশিদ মেম্বারের গ্রেফতাদের দাবিতে প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারী সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানবন্ধনে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বারের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব সহ শ্রমিক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে মন্টু মেম্বার বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু তাদের দোসররা এখনো সক্রিয় আছে, সে দোসরদের মধ্যে অন্যতম বক্তাবলী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রশীদ। যিনি বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল, সে গড ফাদারের শেল্টারে রশীদ মেম্বার এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ভুমিদস্যু ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করতো। গড ফাদার পালিয়ে গেলেও পেতাত্বারা আবারও সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করার জন্য বক্তাবলী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের অফিসে হামলা করে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিন বারের প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় আমরা ফতুল্লা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব শ্রমিক দলের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চায়। আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক শহিদ জিয়ার হাতে গড়া বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন। আমরা ফতুল্লা থানায় সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, মাদক সম্রাট রশীদ মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ফতুল্লা থানা যদি মামলা না নেয় তাহলে শ্রমজীবি মানুষ কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলবো অতিদ্রুত সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু রশিদ মেম্বারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এানববন্ধন শেষে শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা পুলিশ সুপারকে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি প্রদান করেন।