নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের রাজাপুর গুদারাঘাটের বাংলা ১৪৩২ সনের ইজারা বাতিল ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইজারা প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘন করে অন্যের কাছে ঘাট হস্তান্তরের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘাটটির ইজারাদার ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান আলী।
সরকারি নির্দেশনার ভিত্তিতে জানানো হয়, তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকায় ১৪৩২ সনের জন্য (১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত) রাজাপুর গুদারাঘাটের ইজারা লাভ করেন। তবে তদন্তে উঠে আসে, তিনি নিজে ঘাট পরিচালনা না করে তা অন্যের কাছে প্রায় ৮৩ লাখ টাকায় হস্তান্তর করেছেন।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও একাধিক সূত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ‘ফেরিঘাট (খেয়াঘাট/গুদারাঘাট) ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ধৃত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালার’ ২ (ঠ) ধারায় ইজারা বাতিল এবং জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ইজারা অন্যের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন না; করলে তা বাতিলযোগ্য ও আইনত দন্ডনীয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে জানানো হয়, ঘাটটি পুনরায় ইজারা না হওয়া পর্যন্ত দৈনিক খাস আদায়ের ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটটির ইজারাদার ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান আলীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসলে অন্য কারোর কাছে নয় এটা আমাদের দলের লোকজনই চালাচ্ছে। ইউএনও সাহেব এ বিষয়ে এরআগে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পর নোটিশের জবাব দিয়েছি। শুনেছি এ ইজারা নাকি বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা আইনীভাবে মোকাবেলা করবো।