ষ্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় হাটের সিডিউল নিয়ে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার(২৮ শে মে) সকাল থেকে উপজেলায় হাটের সিডিউল নিতে আসে সকল নেতাকর্মীসহ সাংবাদিক বৃন্দরা। এ কারনে সকাল থেকেই উপজেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ফতুল¬া মডেল থানার ওসি সহ তাদের সঙ্গীয় ফোর্স। প্রতি বছরের ন্যায় এবারের দেখা গেয়েছে ভিন্ন চিত্র। গোগনগর ইউনিয়নের কয়লা ঘাট এবং বারিরটেকের দেলোয়ারের নিজস্ব মাঠের সিডিউল নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও যারাই সিডিউল কিনতে আসছে তাদেও সকলের সিডিউল নিজ দায়িত্বে চেইক করছে সোহেল নামের একজন বিএনপির কর্মী দাবি করা ব্যক্তি। যার কাছেই সিডিউল দেখছেন তাকেই ঘিরে ধরছেন সোহেলের নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃংখল যুবক। প্রায় দুই শতাধিক উচ্ছৃংখল যুবক উপজেলার ২য় তলা এবং ভবনের বাহিরে অবস্থান নিয়ে সিডিউল নিয়ে যাওয়া প্রতিটি মানুষকেই চেক করছেন। ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন লাভলু একটি সিডিউল ক্রয় করে ভবনের বাহিরে আসলে সেটা দেখতে চায় সোহেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বেদম মারধর করে। একে একে কয়েকজন সিডিউল ক্রয়কারীর উপর হামলা চালায় সোহেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে সোহেল সর্ম্পকে অনেকে বলেন, তাকে আওয়ামিলীগের সময়েও শামীম ওসমান সহ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথেও দেখা গিয়েছে একাধিকবার। সিডিউল না দেখতে দিলেই সোহেল সহ তার সাথের লোকজন করছে হট্টগোল।
এদিকে বারিরটেকের দেলোয়ারের মাঠে পশু হাট নিয়ে যে হট্রগোল সৃষ্টি হয়েছে তার নির্দেশ দাতা ছিলেন গোগনগর ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আলম। সকাল সোয়া ১০টায় যখন ভবনের ২য়তলায় সিডিউল ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয় তার আগ মুহুর্তে সেখানে অবস্থানরত তার সাথে আসা সোহেল বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন যার কাছে বারিরটেক ও কয়লাঘাটের সিডিউল পাওয়া যাবে সেটা যেন কেড়ে নেয়া হয়। একজন জনপ্রতিনিধির এরুপ নির্দেশের পরই বেপরোয়া হয়ে উঠে সোহেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। সে সময় সোহেল দাম্ভিকতার সহিত বলেন,গতকাল জেল থেকে বের হয়েছি। মেম্বারের এরুপ নির্দেশনার পরই গোগনগর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: মনির হোসেন নামের একজনকে মারধর করে। সে বর্তমানের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরিয়ায়) চিকিৎসাধিন রয়েছে।
এ বিষয়ে মনির বলেন আমাকে সোহেল বাহিনীর লোকজন হঠাৎ পুলিশের গাড়ির সামনে আক্রমণ করে, কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। কিল ঘুষি খেয়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়ায় হাসপাতালে পাঠান।
সুত্রে জানা যায়,মোঃ সোহেল ইসদাইরের একটি মারামারির মামলায় গত ২৬ শে মে তাকে ফতুল¬া মডেল থানার পুলিশ আদালতে প্রেরন করেন। এছাড়া প্রতি বছরই গোগনগর হাটের সিডিউল নিয়েই এমন হট্টগোল করে এই সোহেল এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ বিষয়ে গোগনগর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৯৩২৭৯২৮@@ ) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেনি।