ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার মহিউদিন ভূইয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানানোর কথা বলে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম প্রধান, রাসেল প্রধান, আবুল খায়ের ও মোজাম্মেল প্রধানের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন ভূঁইয়ার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
চলছে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা উল্লেখিত বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকায় ভূমিদস্যুতা,আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিষ্ঠান দখল, বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুর, নদী হতে গ্রাবের মাধ্যমে মাটি তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ সমস্ত মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুঠোফোনে জাগো নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ রকম কোন আলোচনা হয়নি। ১৫ মিনিটের কথা কাটছাট করে ৪০ সেকেন্ড বানানো হয়েছে। একটা রেষারেষি সৃষ্টি করার জন্য। তবে আমার পাম্পে ৪ জন লোক আসছিল। তারা বললো আপনি যদি চেয়ারম্যান হতেন ৩ নং ওয়ার্ড বাসীর সুবিধা হতো। আমরা এপাড়ে চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখতে পারলাম না।
এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭৭৮৬৭১১@@) একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল খায়ের তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৮১২৩৮৯২@@) বলেন, ভাই মহিউদ্দিন আমাদের ক্লাব ভাঙ্গার আসামী। এবং ওর বাবা ছিলো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আমরা কিভাবে আওয়ামীলীগের লোককে চেয়ারম্যান বানাবো। তাছাড়া অনেকে তো কন্ঠ নকল করে অনেক কিছু করছে। মহিউদ্দিন যেটা বলেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবি দলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা রাসেল প্রধান তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭৩০৯৩৭১@@) বলেন, আসলে ভাই এ ভিডিও বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আপনি ভিডিওটা পুরো শুনুন দেখন সেখানে আমার নাম বলেছে কিনা।
বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোজাম্মেল প্রধান তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৫৩০০৭২৪@@ ) বলেন, ভাই মহিউদ্দিনের সাথে আমার প্রায় এক বছর যাবত কোন কথাবার্তা হয়না। আমি কখন কিভাবে বললাম যে ওকে চেয়ারম্যান বানাবো। ও সবকিছু মিথ্যা ও বানোয়াট কথাগুলো বলেছে।