স্টাফ রিপোর্টার // নারায়ণগঞ্জে বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট ও নিয়মিত অভিযানে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মীসহ চিহৃিত দোসরদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের বিচক্ষনতায় বন্দরের চিহৃিত অপরাধীদের মনিটরসহ গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরন করে অনেকটা নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমান করেছেন। অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা পড়লেও প্রকাশ্য চিহ্নিত বালুদস্যুসহ বহু অপকর্মের হোতা চাঁন মিয়া । রংধনুর চেয়ে দ্রুত তিনি ভোল্ট পাল্টিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারদর্শী। ৯০ দশকের লেভার সর্দার বর্তমানে হাজার কোটি টাকার মালিক। অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান পরিচালনা বহুগুনের গুণান্বিত চাঁন মিয়া ওরফে টাওয়ার / দস্যু চাঁন মিয়াকে আইনের আওতায় নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয়ে আসবে অনেক লোমহর্ষক পরিকল্পনার ইতিহাস। বন্দরের শান্তিনগর এলাকায় বালুদস্যু চাঁন মিয়া নদীর বালু কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ’র টাওয়ার ফেলে দেয়ার উপক্রম হয়। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ওসমান পরিবারের শেল্টারে যা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্টের পর চাঁন মিয়া সেই চিরচেনা পল্টিবাজ খ্যাত অবস্থান পরিস্কার করছেন। দস্যুদের পূর্ণবাসন করার জন্য সমাজের ভদ্রবেশী আইনকরা কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাঁন মিয়া একজন বহুরূপী বালু দস্যু সুবিধাভোগী। ৯০ দশকে মুন্সিরগঞ্জ হতে বন্দরে আসে। বন্দর খেয়াঘাটে লেভারদের সর্দার ছিলেন। তারসাথে তাল মিলিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িয়ে পরে। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টায় চাঁন মিয়া। ফের ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের রুপে। তারপর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের একনিষ্ট ভক্ত ও কাছের লোক চাঁন মিয়া। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আগেও চারদলীয়জোট সরকার আমলে বালুর ব্যবসা ছিল বেশ। তারপর ১/১১ সময়ে সুকৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যায়। মহাজোট সরকার স্বৈরচারী সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যে তারা করেনি। ওসমান পরিবারের একজন দোসর। জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াসউদ্দিন ভেন্ডার ও চাঁন মিয়ার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির পাহাড় সমান মালিক। এত অল্প সময়ে ওসমান পরিবারের দোসরা কিভাবে এত অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন সে বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন হতে।
ডেভিল হান্ট অভিযানে ওসমানদের দোসর ভদ্রবেশী জাহাঙ্গীর আলমের প্রকাশ্যতা দেখে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কে এই জাহাঙ্গীর আলম, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না কেন। বিএনপির একটি গ্রুপকে ম্যানেজ পূর্বক প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে চালাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও বন্দরে ওসমানদের দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে আগের মতই অনেকটা প্রভাব খাটাতেও দেখা যাচ্ছে। এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা থেকে শুরু করে এখনও নিয়মিত চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরা রং ধনুর মত ভোল্ট পাল্টাতে সময় নেয় না। যারা ১৬ বছর আগে চাল আনতে পান্তা ফুরানোর উপক্রম হতো। তারাই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকার প্রভাব ও নিজেদের পল্টিতে প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে কিভাবে? এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসন ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ কবরস্থান রোড( সল্পের চক) এলাকা হতে বিএনপির নেতা কবির ওরফে গরু কবিরের বাড়ি থেকে থেকে কাজী জহিরকে গ্রেফতার করে । সাবেক কদম রসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির। বর্তমানে দেশের এমন প্রেক্ষাপটে কাজী জহির বিচার বাণিজ্য, অন্যের জমি দখল, বিশাল দাপটে ছিল।
জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। এমন একটা সময় গেছে রিক্সা ভাড়া দিতে কষ্ট হত। সেই জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে বিশাল অর্থশালী বনে গেছেন। নিজ এলাকা ছাড়াও মদনপুর ফুলহর এলাকায় তার শ্বশুর রহিম মিয়ার এলাকায় ডুপ্লেক্স ৫ তলা বিলাশ বহুল ভবন আছে, এছাড়া নিজ এলাকা রসুলবাগ, কলেজ মাঠ, মাঠপাড়া ৫ তলা ভবন, আমিন আবাসিক এলাকায় সাড়ে ৭ শতাংশ,৷ ৫ কাটা, কল্যান্দী এলাকায় ১শ শতাংশ জমি, খাদেম পাড়া ২ টি প্লট, কাইতাখালী নিতাই বাবুর ২৬ শতাংশ জায়গা ব্যাংক হতে ক্রয় ্করে, সোনাচড়া মন্দির সংলগ্ম ৩০৷ শতাংশ, মুছাপুর ইউনিয়নের প্রেমতল এলাকায় বিল্লাল মিয়ার ৩৩ শতাংশ, কুশিয়ারা হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ভেন্ডার রাজা মিয়ার ৮০ শতাংশ জমি তার স্ত্রী শিউলী বেগমের নামে। এছাড়া নামে বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তির মালিক। সহ বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০/১৫ টি প্লট রয়েছে। ব্যাক্তিগত কোন ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও আকিজ কোম্পানি ঘিরে সুবিধা ভোগীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম একজন। স্বৈরাচারী সরকার ও দলীয় প্রভাবে জিরো হতে হিরো হয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরদের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। আকিজ কোম্পানি ঘিরে অল্প দিনে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। জাহাঙ্গীর আলমের অর্থ সম্পদ কিভাবে, জেলায় দায়িত্ব রত গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম এক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে বিষধ বিশ্লেষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে বেড়িয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য।
জাহাঙ্গীর আলম নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের রসুলবাগ এলাকার। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মদনপুর ফুলহর এলাকার আঃ রহিম মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে। বম্মপুত্র নদী খননের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ওই নদীর বালু উত্তোলন পূর্বক খনন করবে আবার বালু বিক্রি করে দলকে সুসংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমবায় সমিতির মত শেয়ার বিক্রি করে। নদী খননের নামে রাতের আধারে অজান্তে বালু বিক্রি( ভিডিও ফুটেজ)আছে। এরপর আকিজ কোম্পানিকে জায়গা ক্রয়, দখল, নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে যেখানে যা প্রয়োজন তাই করতেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার সাথে থাকা জীবনের অধিকাংশ সময় পার করা ত্যাগী লোকেরা কান্না জনিত কন্ঠে আক্ষেপ নিয়ে বলেন।