বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধের দাবীতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী। ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে মারামারিসহ এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ করলে বন্দরে অপরাধ প্রবনতা কমবে প্রায় ৬০ শতাংশ এমনই ভাষ্য সচেতন মহলের। কোন স্বার্থে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে তা বোধগম্য নয় বলেও ক্ষোভের সাথে জানান ভুক্তভোগীরা। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দি সড়কের ওপর দিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপের কারণে যান চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এসব পাইপের কারণে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবং সড়কের পাশেই জনবসতি সংলগ্ন স্থানে বসানো হয়েছে বুস্টার। যার শব্দে বসবাসের দায় হয়ে উঠেছে?। এমন ভোগান্তি থাকলেও প্রশাসনের নিরবতায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।মেরাজ হত্যা মামলার আসামি নাসিক ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহীন মিয়া, পিংকি, সোয়েব এলাকায় ড্রেজার সিন্ডিকেট করে সড়কে অবৈধ ড্রেজারে বালু বাণিজ্য করতে এ পাইপ লাইন বসিয়েছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কল্যান্দি সড়কে মাঝামাঝি উওর-দক্ষিণে আড়াআড়ি ভাবে প্রায় ২ ফুট উচ্চতায় বসানো হয়েছে পাইপ লাইন। এতে দুইটি যান আড়াআড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানীয়দের বসতবাড়ি ওপর দিয়ে এসব ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার ফলে বসবাসকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দেখা যায়, সড়কের পাশে বুস্টার বসানোর কারণে ড্রেজারের বালু আনলোড করা হবে। এছাড়া বুস্টার মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও ঘুমের বেঘাত ঘটবে। এ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ভয়ে সাধারণ মানুষ ভয়ে খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
বন্দর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাবরই সড়কে অবৈধ ড্রেজার পাইপ সরিয়ে নিতে বললেও কোন তোয়াক্কা করছে না হত্যা মামলার আসামিরা।