বন্দর প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর এলাকায় আন্দোলনরব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারিরা এখন বহাল তবিয়তে। উপজেলা বিএনপির সভাপতির মাজাহারুল ইসলাম হিরণের সেল্টারে হামলাকারিরা প্রকাশ্যে চলাচলে ভয়ে মামলা করতে পারছে না আহত এক শিক্ষার্থীর পরিবার। গত গত ৪ আগস্ট দুপুরে কেওঢালা ও মদনপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা এমএ সালাম চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ ও হাজী আইয়ুবের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিল কমপক্ষে ৩০ জন । গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন(১৭)। সে মনদপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষ ছাত্র। তার পিতার শাহ আলম গাজী, চানপুর হালিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব মেম্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম প্রশিদের ভাই পরিচয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ড্রেজার প্রকল্প, রাতের আধারে অন্যের জমির মাটি বেকু দিয়ে কাটা, অবৈধ চুন ফ্যাক্টরীসহ সকল কাজের কাজী হলেন হাজী আইয়ুব আলী। এত কিছুর পরও বহাল তবিয়তে
তিনি কিভাবে এমন প্রশ্ন সর্বত্র। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবার জনপ্রতিনিধি, নামের আগের বিশ্লেষণ হাজী আইয়ুব। ধার্মিক হলেও তার সকল কর্মকান্ডই অবৈধ ও সমাজ বিরোধী।
আহত শিক্ষার্থী আল আমিন জানান, গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টা থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের নিচে অবস্থান করেছিলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়কের কেওঢালা বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছাই। এ সময় মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব মেম্বার, ছাত্রলীগ অহিদের নেতৃত্বে কয়েকশ’ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়ে। আইয়ুব মেম্বার সকল নাটের গুরু। ধরি মাছ, না ছুই পানি এরই নাম আইয়ুব আলী৷ দল ও মেম্বারের প্রভাবে বালুর ব্যবসা, ইটখোলা, চুন ফ্যাক্টরীসহ তার রয়েছে একাধিক টিম। এসময় আমি সহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হই, আহত হয় বহু। আহতদের স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা এখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় হামলাকারিদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হচ্ছে না।
মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর ছালাম চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ, আজমীর ওসমানের সহযোগী আমির সহ ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের ছাত্র ছায়ায় বিএনপি কর্মী বনে গিয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের ছোট ভাই মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, মদনপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন মোল্লা, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সাদেকুর রহমান, সন্ত্রাসী রুবেল, অহিদের মূল হাতিয়ার আইয়ুব মেম্বার সহযোগী ওরফে ছেচ্ছরা বাবুল, ধামগড় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা বুলবুল সহ আরো একাধিক অপরাধী।