সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসিক ৬নং ওয়ার্ড এলাকার ফ্যাসিবাদের দোসর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা আবু খান ওরফে পিস্তল আবু, দুর্নীতির বরপুত্র যুবলীগ নেতা মতির পিএস ও ক্যাশিয়ার শরীফ, মাদকের গডফাদার একাধিক হত্যা মামলার আসামি নাহিদ প্রকাশ্যে হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এদিকে আবু খান, নাহিদ ও তার বাহিনী বিভিন্ন সময় এলাকায় প্রকাশ্যে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে আতংক। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।অন্যদিকে, কয়েক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নেট, ডিস ও মাদক ব্যবসার আধিপত্য ধরে রাখতে প্রকাশ্যে আবু খান সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় বিরোধ চরমে উঠেছে। এরফলে যে কোনো সময় বড় ধরণের নাশকতা ও প্রাণহানীর আশংকা করছেন এলাকাবাসী। জানাগেছে, গত ৫ আগষ্টের আদমজী সোনামিয়া মার্কেট এলাকার মৃত পৈলন খাঁর ছেলে যুবলীগ নেতা আবু খান সাবেক এমপি শামীম ওসমান ওসমান ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের ছত্রছায়ায় আদমজী এলাকার অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন। সাবেক কাউন্সিলর সিরাজের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে সন্ত্রাসী গুলু মেম্বারের আপন ভাই হওয়ার সুবাদে শামীম ওসমানের গুড লিষ্টের তালিকাতে ও স্থান করে নেয় সে। শামীম ব্লকের একনিষ্ঠ হয়ে আবু খান এলাকায় অপরাধের রাম রাজত্ব গড়ে তুলে। এলাকায় ছিনতাই, মাদক, সুদের ব্যবসা, ভুমিদস্যুতা, মারামারি এমন কোনো অপকর্ম নেই যা আবু খান ও তার বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংগঠিত না হয়েছে। মাদরাসা ছাত্র সাগরকে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা মামলার আসামিও এই আবু খান। এছাড়া মতির পিএস ও ক্যাশিয়ার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগের পদধারী নেতা শরীফ হোসেন। শরীফ হোসেন নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। শরীফের আপন দুই ভাই সজিব ও আরিফ ৬নং ওয়ার্ডের মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত। এছাড়া মতির সকল অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে পিএস শরীফের কাছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে থেকে একাধিক মামলার আসামি পক্ষী মজিবুরের ছেলে এখনও নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের বিশাল নেটওয়ার্ক। এদিকে গত ০৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আবু খান ও তার বাহিনীর সদস্যরা আত্নগোপনে গেলেও কিছুদিন পর ক্রসফায়ারের তালিকাভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা দর্জি সেলিমের ছত্রছায়ায় ফের প্রকাশ্যে আসে আবু। ফিরেই আবু ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে আতংক। আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগীতায় নেমেছে মাঠে।অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিভিন্ন মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করেছে আবু খান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এজাহারভুক্ত আসামি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টারে আবু খান ওরফে পিস্তল আবু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওই নেতারা আবু বাহিনীকে দিয়ে মাদক, নেট ও ডিস ব্যবসা দখল চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপকর্ম করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে। তাই এলাকার নাশকতা প্রতিরোধ ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আবু খানসহ বৈষম্য মামলার সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।